• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের পরামর্শ (ভিডিও)

মুক্তা আহমেদ, আরটিভি নিউজ

  ১২ মে ২০২১, ১১:০২
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের পরামর্শ
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের পরামর্শ

ভয়ঙ্কর করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রুখতে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. বেনজির আহমেদ। তিনি মনে করেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে তা মোকাবেলার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা দেশে নেই। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবি করেছে, এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অক্সিজেন উৎপাদন বাড়াতে দুটি প্রতিষ্ঠানকে শিল্প গ্রেড থেকে মেডিকেল গ্রেডে অক্সিজেন উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

মার্চের মাঝামাঝি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা আবারও প্রকাশ পায়। আইসিইউ, অক্সিজেন এমনকি হাসপাতালে শয্যা পেতে রোগীদের ছুটতে হয় এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে। সে সময় করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ২৩ শতাংশে উঠেছিল।

বিধি নিষেধ আরোপের পর বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলেও নতুন আতঙ্ক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এরই মধ্যে ভারত ফেরত ছয় জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা দ্রুত খারাপ হয়। অধিক সংখ্যক রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। এ অবস্থায় দেশটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, ভারত থেকে যে লোকগুলো এলো, তারা এসে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাদের চলাফেরা ও যাতায়াতের উপর নির্ভর করবে করোনা কতটুকু ছড়াবে। তাদের কারণে সংক্রমণচক্র তৈরি হবে। এই চক্রগুলো তখন নির্ধারণ করবে দেশে সংক্রমণ কোন জায়গায় পৌঁছাবে। যেখানে জনসমাগম হয় সেখানে যদি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যুক্ত হয়, তাহলে জুন-জুলাই-আগস্ট মাসে ভয়াবহ অবস্থান আশঙ্কা রয়েছে।

সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এমনকি হাসপাতালে আইসিইউ ও অক্সিজেন উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, রোগীদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের শয্যা, আইসিইউসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত বিষয় উন্নয়ন চলমান রয়েছে। দুটি বড় কোম্পানি শিল্প গ্রেড থেকে মেডিকেল গ্রেডে অক্সিজেন উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা ইতোমধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি-সংক্রামক ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সবাইকে নিয়মিত মাস্ক পড়ে জনসমাগম এড়িয়ে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
এসআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh