• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনায় অচল নরসিংদীর ৫ শতাধিক তাঁত কারখানা

নরসিংদী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৩ মে ২০২১, ১০:৫০
করোনায় অচল নরসিংদীর ৫ শতাধিক তাঁত কারখানা
করোনায় অচল নরসিংদীর ৫ শতাধিক তাঁত কারখানা

আধুনিকাতার সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে এমনিতেই ধুঁকছিল নরসিংদীর তাঁতশিল্প। তার মাঝেই সংক্রমণের থাবা বসালো করোনাভাইরাস। ফলে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের তাঁতপল্লীগুলোতে চলছে সুনশান নীরবতা।

করোনার সংকটে পড়ে কাপড় বিক্রি করতে না পেরে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে তাঁত কারখানাগুলো। এতে করে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে এখানকার তাঁত মালিকরা।

সরেজমিনে ডাঙ্গা ইউনিয়নের তাঁতপল্লীগুলো ঘুরে দেখা যায়, অনেকটা নিঃস্তব্দ অবস্থায় রয়েছে তাঁত কারখানাগুলো। গত দুই বছর আগেও যে গ্রামগুলো তাঁত মেশিনের ঠুকঠাক শব্দে মুখরিত ছিল, ছিল কর্মব্যস্ততা; সেটি এখন আর নেই। অধিকাংশ তাঁত মেশিনগুলো রয়েছে বন্ধ। কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে গ্রামের হাজারো তাঁত শ্রমিক।

জানা যায়, ডাঙ্গা ইউনিয়নের কেন্দুয়াব, তালতলা ও ইসলামপাড়া গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস তাঁতশিল্প। দীর্ঘদিন ধরে কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালিকপক্ষ অন্যদিকে কর্মহারিয়ে মানবেতর জীবন পার করতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

কেন্দুয়াব গ্রামের রহমতউল্লাহ টেক্সটাইলের মালিক আল মাহমুদ জানান, করোনা সংকটে কারণে তার কারখানার ছয়টি তাঁত মেশিন তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। মেশিন বন্ধ থাকায় আয় উপার্জনও হচ্ছে না। শ্রমিকদের বেতন দিতে না পারায় তাদেরও বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।

একই গ্রামের ইউসুফ টেক্সটাইলের মালিক হিরন মিয়া জানান, করোনার কারণে গত এক বছর ধরে ব্যবসায়ীরা কারখানাগুলো থেকে কাপড় সংগ্রহ করতে পারছে না। কাপড় বিক্রি করতে না পারায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে এখানকার তাঁত মালিকদের। এছাড়া লকডাউনের কারণে তাঁতের প্রয়োজনীয় সুতা ও মেশিনারির মালামালও পাচ্ছেন না তারা।

তালতলা গ্রামের বাদশা টেক্সটাইলের মালিক বাদশা মিয়া জানান, তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কারখানার চালু করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তাকে ঘুরতে হচ্ছে।
একই গ্রামের তাঁতশ্রমিক জামান মিয়া, জহির মিয়া, সাত্তার হোসেনসহ একাধিক শ্রমিক জানান, তাঁত কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় কর্মহারিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অভাব অনটনে পড়ে অনেকেই রিকশা চালিয়ে অথবা দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

এদিকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে দ্রুত সরকারি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিন জানান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতশিল্পীদের দ্রুত সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ইসি আলমগীর
গলায় জীবন্ত কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
X
Fresh