• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

লকডাউনে গাদাগাদি করে চলছে ছোট পরিবহন, সংক্রমণের ঝুঁকি! (ভিডিও)

জাহিদ রহমান, আরটিভি নিউজ

  ০১ মে ২০২১, ১৯:২৪
লকডাউনে গাদাগাদি করে চলছে ছোট পরিবহন, সংক্রমণের ঝুঁকি!
লকডাউনে গাদাগাদি করে চলছে ছোট পরিবহন

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও আন্তঃজেলা চলাচল থেমে নেই। বাস-মিনিবাসের বিকল্প হয়ে উঠেছে রেন্ট-এ কারের মাইক্রোবাস, কার ও মোটরবাইক। যাত্রীরা দ্বিগুণের বেশি ভাড়ায় সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে গাদাগাদি করে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছেন। চালকরা জানান, পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে তাদের অবৈধ যাতায়াত।

সরেজমিনে শনিবার সকালে গাবতলী গিয়ে দেখা যায়, ঢাকায় টিউশনি করে চাকরি খুঁজছিলেন মোস্তাকিন। মা অসুস্থ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় বগুড়ায় যেতে হচ্ছে তাকে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৪-৫শ টাকার ভাড়ার জায়গায় তাকে দিতে হচ্ছে এক হাজার টাকা। অতিরিক্ত ভাড়ার সঙ্গে মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাতায়াতে আছে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি। এমন আরও অনেককে গুণতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে এককেটা গাড়িতে নিচ্ছে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা। নবীনগর কেউ যেতে চাইলে তাকেও গুণতে হচ্ছে ১০০ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে আন্তঃজেলা যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তারপরও যাতায়াত থামেনি। বরং বাস-মিনিবাসের বিকল্প হয়ে উঠেছে ভাড়ার মাইক্রোবাস, কার ও মোটরবাইক। শুধু মাইক্রোবাস কিংবা কার নয়। দূরপাল্লার পথে ঝুঁকি নিয়ে ভাড়ায় চলছে মোটরবাইক। ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই গা ঘেঁষে বসছে তিনজন। মোটরবাইকার দুইজন আরোহীসহ গাদাগাদি করে মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে। আরেক মোটরবাইকার বলেন, দুনিয়া যেভাবে চলছে আমরাও সেভাবে ম্যানেজ করে চলছি।

চালকরা জানান, আন্তঃজেলা যাতায়াত বন্ধ থাকলেও পুলিশকে ম্যানেজ করেই নিয়মিত চলাচল করছেন তারা। এই সুযোগে পরিবহন খাতের চাঁদাবাজরাও সক্রিয় হয়েছে। প্রতিটি গাড়িতে যাত্রী যোগার করে বেকার পরিবহন শ্রমিকদের একটি অংশ চালকদের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছেন জনপ্রতি ৫০ থেকে একশ টাকা।
রেন্ট-এ কারের দেখাদেখি সিএনজি অটোরিকশা আর ব্যাটারিচালিত রিকশাও দূরপাল্লায় চলতে শুরু করেছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। সাভার যেতে নিচ্ছেন ৭০ টাকা করে জনপ্রতি।

যাতায়াত ঠেকাতে শহরের প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট থাকলেও তৎপরতা নেই। সাংবাদিক দেখলে লোক দেখানো চেকিং শুরু হয়। গাবতলীতে দায়িত্বরত সার্জেন্ট বলছেন, তারা চেকিং করে তারপর যেতে দিচ্ছেন, সবার মুভমেন্ট পাস আছে বলে জানান তিনি। বেশিরভাগ গাড়িই ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের।
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলার এই প্রবণতা প্রকাশ্যে ঘটলেও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি পুলিশ চৌকিতে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভোটের দিন লকডাউনের ডাক এবি পার্টির
X
Fresh