• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈদের আগেই সমস্ত পরিবহন বন্ধের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

  ৩০ এপ্রিল ২০২১, ২১:১৬
ঈদের আগেই সমস্ত পরিবহন বন্ধের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে ৭০ শতাংশ সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ঈদের আগমুহূর্তে গণপরিবহন খুলে দিলে সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকবে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মনে কোনো সন্দেহ নেই। সেজন্য ঈদের আগমুহূর্তে জরুরি পরিবহন বাদে সমস্ত পরিবহন বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে লকডাউন সমর্থন করে সরকারের কাছ থেকে গণপরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকা কেজি চালের দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু।

জানা গেছে, সারা দেশে গত ১৪ এপ্রিল প্রথম কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ধাপে ধাপে লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সরকার তিন দফায় লকডাউন বাড়ানোর কারণে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে তিন সপ্তাহে সর্বনিম্ন ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরআগে মৃত্যুর সংখ্যা দৈনিক একশো’র ঘুরে ছুঁয়েছিল। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জনের। মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামেনি, এখনও সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি। সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে প্রয়োজনে অফিসসহ সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন তিনি। একইসঙ্গে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসে ধীরে ধীরে অফিস, আদালত, গণপরিবহন খুলে দেওয়া যেতো। কিন্তু আমাদের দেশে এটি সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ রেখে জরুরি প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি অনেক পরিবহন রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ গণপরিবহনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া পরিবহনের অধিকাংশ শ্রমিক তরুণ। এসব শ্রমিক নিজেরা সংক্রমিত হয়ে পরিবারের বয়স্কদের সংক্রমিত করবে। গণপরিবহন শুধু শ্রমিকদের বিষয় নয়, এখানে যাত্রীরাও আছেন।’

হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে করোনা শনাক্ত ও আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। যেখানে ৮ হাজারের কাছকাছি প্রতিদিন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে সেখানে ৩ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে। এতে ধরা যায়, সরকারের ঘোষিত এই লকডাউনে ৭০ শতাংশ সুফলতা এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের সুফলতা ধরে রাখতে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতি ও প্রার্থনার জায়গায় জনসমাগম করা যাবে না। ঈদের আগমুহূর্তে শুধু গণপরিবহন নয়, প্রয়োজনে জরুরি পরিবহন বাদে সমস্ত পরিবহন বন্ধ করা উচিত। আর ঈদের পরে করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক হলে প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে পরিবহন খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মতামত নেওয়া হচ্ছে না, তবে আমরা লকডাউনের সিদ্ধান্তে সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সরকার পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকা কেজি চালের ব্যবস্থা করুক। শ্রমিকরা ১০ টাকা কেজি চাল কিনে খেয়ে বাঁচুক।’

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh