• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পদ্মা-মেঘনায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামছে জেলেরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২৯
পদ্মা-মেঘনায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামছে জেলেরা
পদ্মা-মেঘনায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল)। রাত ১২টার পর আবারও মাছ ধরতে নদীতে নামবেন জেলেরা। মাছ ধরতে প্রস্তুত চাঁদপুরের ৫২ হাজার জেলে।

জাটকা সংরক্ষণে দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ দিনগত মধ্যরাতে। এবারে জেলার নদীপারের সিংহভাগ জেলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও একশ্রেণির জেলে জাটকা শিকারে ব্যস্ত ছিল। যে কারণে চলতি বছর ইলিশের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এক শ্রেণির জেলে চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় জাটকাসহ মাছ শিকারে নামেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে জাটকা রক্ষায় তেমন একটা নজর দিতে পারেননি বলে জানায় প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা।

পুরানবাজার হরিসভা এলাকার বেশ কয়েকজন জেলে বলেছেন, ‘সরকার আমাদের চাল দিয়েছেন। তাই আমরা দুমাস নদীতে নামিনি। এখন জাল নৌকা নিয়ে বসে আছি কখন নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। বহিরাগত কিছু জেলে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন নদীতে মাছ শিকার করেছে।

চাঁদপুরের মৎস্যজীবী নেতা মিজানুর রহমান কালু জানান, নদীতে অভিযানে বেশ ঘাটতি ছিল। এতে সুযোগ নিয়েছে একশ্রেণির অসাধু জেলে। ফলে নির্বিচারে জাটকা নিধন হয়েছে। যার কারণে এবছর ইলিশ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী আরটিভি নিউজকে জানান, পদ্মা ও মেঘনার অভয়াশ্রমে গত দুই মাসে জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে ৩৯ মেট্রিক টন জাটকা, ৩৮ কোটি ৮ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্টজাল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধনের দায়ে তিন শতাধিক জেলেকে আটক করে কারাদণ্ড এবং ৫ শতাধিক জেলেকে আর্থিক জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, এবার আমরা করোনার কারণে নদীতে আগের মতো অভিযান চালাতে পারিনি। এজন্য জাটকা রক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু জেলেরা যাতে নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে না নামেন সেজন্য জেলার ৪০ হাজার ৫ জন জেলেকে প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চার মাস চাল দেয়া হয়।

এ বিষয় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ আরটিভি নিউজকে জানান, জাটকা সংরক্ষণে প্রশাসনের উদ্যোগের কোনো ঘাটতি ছিল না। এসময় জেলেদের প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও কোথাও জেলেরা জাটকা নিধনে তৎপর ছিল। আর যারা এসব কাজে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, সরকারের নানা উদ্যোগে জাটকা সংরক্ষণে কর্মসূচি সফল হলে দেশে মোট ইলিশের উৎপাদন পূর্বের ৫ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে পৌঁনে ৬ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আসছে ঈদ, নদীতে মাছ না থাকায় হতাশ জেলেরা 
মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের যে বার্তা পাঠাল হিযবুত তাহরীর
জেলিফিশে বেকায়দায় জেলেরা
মধ্যরাতে ঢাকায় ঝড়, শিলাবৃষ্টি
X
Fresh