• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ (ভিডিও)

খান আলামিন, আরটিভি নিউজ

  ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০৯:২০
দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ
দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ

নির্ধারিত সময়ে টিকা না আসায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরেছে সাড়ে ১২ লাখের বেশি মানুষ। টাকা নিয়েও নির্ধারিত সময়ে টিকা না দেয়ায় ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট শর্ত ভঙ্গ করেছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে যা প্রত্যাশিত নয়।

বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তির পর দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে। এছাড়া ভারত সরকার উপহার দিয়েছে ৩৩ লাখ ডোজ। সব মিলিয়ে টিকার সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ।

২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৬ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৫ জন। ওই দিন পর্যন্ত টিকা ছিল ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার বাকি ৩৮ লাখ ১০ হাজার ৭১১ জন। ঘাটতি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭২ ডোজ।

টিকা সংক্রান্ত কোর কমিটির আলোচনায় উঠে এসেছে টিকার বর্তমান মজুদ আগামী ১৫ মের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। কিন্তু ভারত সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ কারণে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা কাটছে না। যদিও বাংলাদেশ আশায় বুক বেঁধে আছে। অন্যদিকে সরকার চীন-রাশিয়ার সঙ্গে টিকা আনার বিষয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু যারা অক্সফোর্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের কি হবে?

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করি সেরাম ইন্সটিটিউটের টিকাটি পাব। যে টিকাগুলো পাওয়ার কথা সেগুলো পেয়ে গেলে, এখন যে সংকট আছে তা কেটে যাবে। যদি না পাই তাহলে নতুন যে টিকা আসবে তা নিয়ে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

টিকা নিয়ে জিন প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, অনেকে প্রথম ডোজ নেয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মানে তাদের মাঝে টিকার প্রভাব পড়ছে না। তবে দ্বিতীয় ডোজ দিতে যদি দেরি হয়, তাহলে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।

দ্বিতীয় ডোজের সমস্যা বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউট চুক্তির নিয়ম ভেঙেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশা ছিল, তারা আমাদের নিয়ম করে টিকাগুলো দিবে। কিন্তু তা তারা দেয়নি। টিকা নিয়ে দায়সারা পরিকল্পনার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

একই সমস্যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিায়র আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, বাংলাদেশ এখন খোঁজা শুরু করেছে অন্য উপায়। কিন্তু পৃথিবীর যে কোনো দেশেই অন্য উপায় খুঁজে রেখেছে আগে থেকেই। একটি দেশ থেকে করোনা টিকা সংগ্রহ করা কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। তবে বাংলাদেশ দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে এ বিষয়টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, বাংলাদেশের জন্য স্বল্পমেয়াদে ৩ কোটি ডোজ এবং দীর্ঘমেয়াদী ১৪ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন।
জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অনিশ্চয়তায় কোহলিদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ!
ফিট হতে না পারায় ফিরে গেলেন শাবনূর, অনিশ্চয়তায় তিন সিনেমা
X
Fresh