বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছেন না ইফতারের ক্রেতা-বিক্রেতারা (ভিডিও)
নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই। মানছেন না সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ছাড়াই গায়ে গা ঘেঁষে করছেন কেনাকাটা। বিক্রি কম অজুহাতে পোড়া তেলেই দিনের পর দিন ভাজা হচ্ছে ইফতারসামগ্রী। খাচ্ছেন রোজাদাররা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজায় করোনাকালীন এসব খাবারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরতে পারে জনস্বাস্থ্য।
সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের ইফতার বিক্রেতা আল অমিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, ভালো তেলই ব্যবহার করছেন তিনি। কিন্তু তেলের কালচে রঙই বলে দেয় দিনের পর দিন একই তেলে ভাজা হচ্ছে ইফতারের নানা আইটেম। আর এসকল খাবার খাচ্ছেন রোজাদাররা। দক্ষিণ পীরেরবাগের ইফতারির দোকানগুলোর একই অবস্থা। কালচে তেলে ভাজা হচ্ছে জিলাপি। ইফতার বেচাকেনায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
ক্রেতারা বলেন, ইফতার বাজারে খবু ভিড়। এ কারণে আমরা সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার কিনতে পারি না। কঠোর নজরদারির পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বাড়ানো দরকার।
অন্যদিকে বিক্রেতারা ক্রেতাদের বিষয়ে বলেন, আমাদের যে নিয়ম তা আমরা মেনে চলছি। তবে ক্রেতাদের তা মানানো যাচ্ছে না। মাস্ক পড়া না থাকলে আমরা কারো কাছে ইফতার বিক্রি করি না।
এ বিষয়ে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শায়লা শারমীন বলেন, প্রায় ১৬ ঘণ্টা রোজা রাখার পর ইফতার খাওয়ার সময় রাখতে হবে শসা আর শরবত ও মৌসুমী ফল। রোজায় খাবার খেতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। সতর্ক থাকতে হবে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রোজায় করোনা মোকাবেলায় কঠোর সতর্কতা মানতে হবে।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন