ব্যাংক কর্মকর্তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ হুইপপুত্রের বিরুদ্ধে (ভিডিও)
গণমাধ্যমে একের পর এক শিরোনাম হচ্ছেন চট্টগ্রামের আলোচিত হুইপপুত্র শারুন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনে, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ সামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল হক চৌধুরী শারুন-এর নানা অপকর্মের ঘটনা সামনে এসেছে।
২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম চৌধুরীকে টেলিফোনে অশ্লীল গালিগালাজ করেন এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, তিনি কখনও অবৈধ এ কে ফোরটি সেভেন অস্ত্র চালাচ্ছেন আবার কখনও আকণ্ঠ পান করে মারামারি করছেন।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী আরটিভি নিউজকে অভিযোগ করে বলেন, এক সময় বিএনপির ক্যাডার শারুনের বাবা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে সরকারি দলকে ঢাল বানিয়ে নগরীতে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছে।
২০১৯ সালের ২৮ মের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীর বাসার পার্কিংয়ে দুটি গাড়ি থেকে কয়েকজন যুবক নামছে। যারা ঐ বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। নিহত ঐ ব্যাংকার এর স্ত্রীর অভিযোগ, সাদা রংয়ের নম্বরবিহীন গাড়িতে তখন বসা ছিল হুইপপুত্র শারুন ও আরশাদুল আলম বাচ্চু নামে একজন।
পরিবারের অভিযোগ ব্যাংকার ও তরুণ ব্যবসায়ী আবদুল মোরশেদ ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ৩৫ কোটি টাকা শোধ করেও শারুনের আক্রোশ থেকে বাঁচতে পারেনি। শারুনের নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনী মোরশেদের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাণ্ডব চালায়, মারধর করা হয় স্ত্রী ও মাকে। অপমান সইতে না পেরে গত ৭ এপ্রিল আত্মহত্যা করেন মোরশেদ চৌধুরী। ঐ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মোরশেদ চৌধুরীর স্ত্রী ইশরাত জাহান আরটিভি নিউজকে বলেন, মামলার পর এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ বলছে, তদন্ত করে দ্রুত আসামিদের ধরা হবে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
-
আরও পড়ুন... চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে ভূকম্পন
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডিসি (উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, তদন্ত করে দ্রুত আসামিদের ধরা হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ও তার ছেলে এর আগে নানা অপকর্ম করে বারবার আলোচনায় এলেও রহস্যময় কারণে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যান।
পি
মন্তব্য করুন