বর্ষা এলে দুর্ভোগ নেমে আসে রাজধানীবাসীর
বর্ষা এলে দুর্ভোগ নেমে আসে রাজধানীর জিয়া সরণি ও শ্যামপুর খালপাড়বাসীর জীবনেও। সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে যায় রাস্তায়। ঘর-বাড়িতে ঢুকে পড়ে পানি। তাই বর্ষা আসার আগেই খাল দুটিকে দখলমুক্ত করে পরিষ্কার করার জোর দাবি এলাকাবাসীর।
রাজধানীর জিয়া সরণি খাল। শনিরআখড়া থেকে শুরু হয়ে জিয়া সরণি ধরে মোহাম্মদবাগ এসে মিশেছে শ্যামপুর খালে। দীর্ঘ পথে খালের পানি প্রবাহে খুব বেশি বাঁধা না পেলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে আছে বেশিরভাগ জায়গা। শুকনো মওসুমেও খালের পানি সড়ক ছুঁইছুঁই। বর্ষা না আসতেই পানির এমন উচ্চতা দেখেই বোঝা যায়, সামান্য বৃষ্টিতেও এলাকার কী অবস্থা হয়!
খালটি মাঝে-মধ্যে পরিষ্কার করা হলেও আবর্জনা কমে না। কর্তৃপক্ষের অবহেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খালের মধ্যে নিয়মিত ময়লা-আর্বজনা ফেলা হয়। তাই এলাকাবাসীর দুর্ভোগও কমে না।
এই বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, সমস্ত এলাকার পানি এই দিক দিয়ে আসে। অল্প পানি হলেই রাস্তায় চলে আসে। আর বৃষ্টির সময় ঘর থাকে পানির নিচে।
একই অবস্থা শ্যামপুর খালেরও। জুরাইন ও শ্যামপুর এলাকা দিয়ে ঢুকে জিয়া সরণি হয়ে কদমতলির বড় একটি অংশ জুড়ে খালের অবস্থান। মোহাম্মদবাগে খালটি দখল হতে হতে কয়েক ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় হঠাৎ দেখায় এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াও ভার!
অন্যদিকে শেষ কবে আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে তা বলতে পারেন না এলাকাবাসী। খালের এ দশার জন্য নিজেদেরকেও দায়ী করেছেন তারা। খাল ভরাট হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই রায়েরবাগ, মেরাজনগর সি ব্লক, মাতুয়াইল মেডিকেলসহ, আশপাশের এলাকায় পানি জমে যায়। এই কারণে বর্ষার আগেই জিয়া সরণি ও শ্যামপুর খাল দুটি পরিষ্কারের দাবি জানালেন তারা।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন