• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের (ভিডিও)

নাজিব ফরায়েজী

  ০২ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১১

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে অফিসে জনবল ৫০ ভাগ কমানো নিশ্চিত না করেই পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী করার সিদ্ধান্তকে অবাস্তব বলে মনে করেন তারা। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে সরকারকেই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ তাদের।

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবধরনের জনসমাগম সীমিত ও গণ-পরিবহনে অর্ধেক

যাত্রী পরিবহনসহ ১৮টি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এতে বলা হয়, বন্ধ থাকবে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ শতাংশ লোকবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। প্রয়োজনে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আন্তঃজেলা যান চলাচলও বন্ধ থাকবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলছেন, নির্দেশনা দিলেই তো হবে না। সরকারের কিন্তু এর আগের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে যে, নির্দেশনা দিলেই কাজ হয় না, সেটাকে কার্যকর করতে হয়। সরকার এই নির্দেশনা দিয়েই যদি চুপ করে থাকে তাহলে এ নির্দেশনার ফলাফল খুব একটা ভালো হবে না।

আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবক, সামাজিক সংগঠন তাদের এগিয়ে আসতে হবে। যারা জনপ্রতিনিধি, জনগণের নেতা, বিভিন্ন পেশার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি আছেন তাদের আরও সক্রিয় করা দরকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে নির্দেশনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এ বিষয়ে আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা বলছেন, কলকারখানা চালানোর জন্য শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করলাম ‘গরীবের করোনা হয় না’। এখন তাকেই যদি মাস্ক পরতে বলি সে বলবে, আমরা তো জানি গরীবের করোনা হয় না। আপনাদের করোনা হবে। আপনাদের জন্য আমরা কেন পকেটের পয়সা খরচ করে মাস্ক কিনব। এই ভুল বার্তাগুলো সংশোধন করতে হবে। গরীবেরও করোনা হচ্ছে, তারাও মারা যাচ্ছে।

ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন, অতীতে আমাদের এখানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছিল। আমাদের হঠাৎ করে সংক্রমণ বিস্ফোরণ ঘটেনি। তাই বলে এখন ঘটবে না সেটি মনে করলে আমরা বিরাট বিপদে পরে যাব।

এদিকে অফিসের জনবল অর্ধেক করার আগেই বাসের অর্ধেক সিটে যাত্রী পরিবহনে সঙ্কট তৈরির আশংকা করছেন তারা। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বলছেন, এটা সরকারের সমন্বয়হীনতার। অফিসে এই নির্দেশনা যেদিন থেকে প্রতিপালন শুরু হবে তখন অফিসে যাওয়ার সংখ্যা কমবে। তা করা হয়নি। অথচ যানবাহন সংশ্লিষ্টরা নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বেশি সংক্রমিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে লকডাউনের পরামর্শও দিলেন এই দুই বিশেষজ্ঞ।

এসআর/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাপাহারে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শঙ্কায় কৃষক
আরও তিনদিন ‘হিট অ্যালার্ট’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
X
Fresh