• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিক্ষা আইনের চূড়ান্ত খসড়ায় কোচিং ও সহায়ক বইয়ের সুযোগ (ভিডিও)

খান আলামিন

  ২৫ মার্চ ২০২১, ০৮:৪৬

কোচিং এবং সহায়ক বইয়ের সুযোগ রেখেই শিক্ষা আইনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। খসড়ায় পত্রপত্রিকায় পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এবং তার আলোকে সম্ভাব্য উত্তর প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। শিক্ষাবিদরা বলেন, কোচিং থাকতে পারে তবে তা নীতিমালার আওতায় পরিচালিত হতে হবে। সহায়ক বইয়ের মোড়কে যেন গাইড বই ফিরে না আসে সেদিকেও নজর দিতে হবে।

কোচিং, প্রাইভেট, সহায়ক ও গাইড বইয়ের অপব্যবহার বন্ধে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষা আইন তৈরির কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১০ বছর পর এখন সেই কোচিং আর সহায়ক বইয়ের সুযোগ রেখেই আইন হতে যাচ্ছে। খসড়া অনুযায়ী কোচিং করাতে কিছু বিধি নিষেধ মানতে হবে। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো যাবে না। শিক্ষাবিদরা বলেন, কোচিং যেন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গড়ে না উঠে তা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ন্যূনতম একটা নির্দেশনা থাকা উচিত সে আইনে, কতজন পড়াতে পারবে, স্কুলের বাইরে কত ঘণ্টা সময় সে পড়াতে পারবে। একজন স্কুলশিক্ষক যদি স্কুল টাইমের বাইরে সারাক্ষণই পড়ান তাহলে স্কুলে তিনি কী পড়ান?

খসড়ায় গাইড বই নিষিদ্ধ হলেও সহায়ক বই থাকার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ইংরেজি বইকে আরও সহজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়ক বই থাকতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা হলো কোনও গাইডে যদি উত্তর দেয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থী পুরো গল্প বা কবিতা না পড়ে, মর্মার্থ না বুঝে সে এমনিই উত্তর জেনে গেল। সেটা হলো নোট বই বা গাইড বই থেকে।

কুমিল্লার হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. আনিছুর রহমান বলেন, সহায়ক বই অবশ্যই দরকার। কারণ শুধু পাঠ্যবই দিয়ে সে কোনও বিষয় ভালোভাবে নাও বুঝতে পারে।

প্রায় তিন দশক ধরে দৈনিক পত্রিকায় শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু এবং সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করা হয়। খসড়া আইনে এতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাইছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রভাষক মো. আনিছুর রহমান বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পত্রিকা পড়েন তাদের জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের পরামর্শ অবশ্যই প্রয়োজনীয়।

অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান বলেন, যদি কোনও গণমাধ্যম এমন কিছু ছাপিয়ে দেয় এবং সাথে সাথে উত্তর দিয়ে দেয়, সরাসরি শেখানোর চেষ্টা করে এবং সরাসরি বিষয়বস্তু নিয়ে আসে তাহলে বলব সেটা ঠিক না। কিন্তু সার্বিকভাবে দিক-নির্দেশনা থাকতে পারে। কিভাবে পড়াশোনা করবে, কিভাবে ব্যাখ্যা করবে তা উল্লেখ থাকতে পারে।

আইনটি মন্ত্রীসভায় তোলার আগে অংশীজনদের সঙ্গে আরও বিশদ আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh