• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তুরাগ নদী ও জলাশয় এখনও এমপি আসলামুল হকের দখলে (ভিডিও)

শরিয়ত খান

  ০৫ মার্চ ২০২১, ০৮:০৬
ফাইল ছবি

তুরাগ নদী ও জলাশয় দখল করে রেখেছেন মিরপুরের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। সেখানে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো বাধা না থাকলেও দু’মাসেও তা করা হয়নি। এই সুযোগে নিজের অবৈধ স্থাপনা বাঁচাতে তিনি গেছেন আপিল বিভাগে।

বিআইডাব্লিউটিএ বলছে, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা পেলেই তারা অভিযান পরিচালনা করবেন। অন্যদিকে আইনজীবীরা বলেছেন, হাইকোর্টের মামলা খারিজের রায় নিয়ে উচ্ছেদ করা যায়।

নদী তীরের বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে অবকাঠামো। প্রায় ৫৪ একর জমির ওপরের বিদ্যুৎ প্রকল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চলটির মালিক সংসদ সদস্য আসলামুল হক।

নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে নদীর প্রায় ১৩ একর আর বন্দরের সীমার প্রায় ৮ একর জমি দখল করেছেন তিনি। বাকি জমি ড্যাপের আওতাভুক্ত। এর আগেও উদ্ধার করতে ২০২০ সালের মার্চে অভিযানে এসেছিলো বিআইডব্লিউটিএ।

কিন্তু সংসদ সদস্যের তোপের মুখে ফিরে আসতে হয়েছে। অবশেষে বিষয়টি সুরাহা করতে নদীরক্ষা কমিশন ও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সংসদ সদস্য আসলামুল হক। প্রায় ৬ মাস মামলা চলার পর মামলায় হেরে যান তিনি। এমনকি নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনও যায় তার বিরুদ্ধে।

সংসদ সদস্য আসলামুল হকের স্থাপনা উচ্ছেদে গেলো জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হলে ও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আগে নিজ উদ্যোগে ভাঙতে গেলেও এখন যেন আগ্রহ নেই। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে তাদের কোনো জায়গা দখল করেননি সংসদ সদস্য আসলামুল হক। অথচ নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন বলছে প্রায় ১৩ একর জায়গা দখল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক এ কে এম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার কাছে যে রিপোর্ট আছে তাতে উনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে নাই। আমি আমার নিয়মের বাহিরে যেতে পারবো না।

নদীর জায়গা উদ্ধার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম-পরিচালক গুলজার আলী বলেন, জেলা প্রশাসককে সকল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে আরএস বাতিল করতে। আর নদীর সীমা নির্ধারণ করতে। উনি যখন ডাকবে তখন অবশ্যই উদ্ধার কাজে যাবো।

এক সংস্থা যেন অন্য সংস্থার দিকে তাকিয়ে আছে। এ বিষয় জানতে ‘নদী রক্ষা কমিশনে’র অফিসে গেলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান দেখা করেননি। সবার যখন এই অবস্থা তখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে এ দায়িত্ব কার?

নদীর জমি উদ্ধার বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, অন্য সকল কাজগুলো চলছে। কিন্তু এই কাজটি হচ্ছে না। এর জবাব বিআইডব্লিউটিএ আর জেলা প্রশাসককে দিতে হবে। উচ্চ আদালতের রায়ের পর নদীর জায়গা উদ্ধার করা ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই।

নদী দখল সমস্যা নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা নদীর জমি দখল করে রেখেছে তারা কোর্টে গিয়েছে। কোর্ট পরবর্তী নির্দেশনা দিয়েছে। আর আমরা লাল পতাকা দিয়ে সেই স্থানগুলো চিহ্নিত করেছি। কোর্টের চিঠি আসলে আমরা পিলার বসানো কাজ শুরু করবো।

জিএম/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh