• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ (ভিডিও)

আশিকুল আলম

  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:৩১

ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়ে ব্যবসায়ীদের উল্টো বেশি মুনাফার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এমন অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। সর্বোচ্চ দাম ঠিক করে দেওয়াতে আমদানিকারকরা আগের কম দামে তেল দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। এমন অবস্থায় আমাদানিকারকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিলো ক্যাব।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে পরপর দু’বছর দাম ওঠে রকেটের গতিতে। অথচ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর সেই দামই নামে ঠেলাগাড়ির গতিতে। দুই গতির সুযোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুটে নেয় ব্যবসায়ী নামধারী সিন্ডিকেট।

পেঁয়াজের দেখাদেখি সুযোগ নিতে শুরু করেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরাও। কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় দাম বাড়তে শুরু করলে আমাদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ‘কিছু একটা হবে’ আশায় বুক বাঁধেন সাধারণ ক্রেতারা। অথচ সবাইকে অবাক করে দিয়ে আগেই রেকর্ড গড়ে বসে থাকা দামই ঠিক করে দেয় সরকার।

এমন অবস্থায় ক্রেতারা বলেন, এর আগে কেজি ৯৫ টাকা করে ছিলো। সরকার দাম নির্ধারণ করার পর তা হয়েছে ১২৫ টাকা। পরিস্থিতি অনেক ওপর চলে গেছে। এখন এদিকে নজর দেওয়া দরকার সরকারের।

অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে নেয়া সরবরাহ আদেশ বা ডিওতে এখন আর তেল বিক্রি করছেন না আমাদানিকারীরা। তারা চাচ্ছেন নতুন বাড়তি দাম।

এ বিষয়ে বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা ইচ্ছে করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

একই বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বলেন, এখন দোকানদাররা বড় কোম্পানির সমালোচনা করছে। তারা সরকারের সাথে দাম নির্ধারণ করার পর বেশি দামে বিক্রি করছে। আর কৌশলে রমজানের আগেই আমদানিকারকরা তেলের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে।

এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ তেল আমদানিকারী কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh