• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিয়ম না মেনে এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে

আনোয়ার হাসান

  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৫
নারায়ণগঞ্জ×নিয়মন×আনাচ×কানাচ×গ্যাস×সিলিন্ডার×রেস্টুরেন্ট×দগ্ধ×
ছবি সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে নিয়ম না মেনে আনাচে কানাচে বিক্রি হচ্চে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে রাখা হচ্ছে সিলিন্ডার বোতল। মুদি দোকান, ওষধের দোকানসহ নানা দোকানে মজুদ রাখা হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার।

এতে যেমন ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে তেমনি বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কারণে স্মার্ট এ রান্না পদ্ধতি নিয়ে ভীতি থেকে যাচ্ছে অনেকের মনে।

সচেতন মহল বলছেন, এসব এখনি না ঠেকালে ভবিষ্যতে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জেলা পরিষদ কার্যালয়সংলগ্ন বিলাসনগর এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রফিকুল ইসলাম (৫০) নামের এক দোকান কর্মচারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এর আগে ১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় রয়েল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হন।

স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সময়ে বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ছয় বছর পর পর সিলিন্ডার পরীক্ষার করতে হয়। খরচের ভয় ও ঝামেলা মনে করে অনেক ব্যবসায়ী তা করেন না।

বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলপিজি গ্যাসের ডিলাররা অনুমোদন নিয়ে শো-রুম করলেও গোডাউনের বেলায় নীয়মনীতি মানেন না। আবার তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যারা খুচরা বিক্রি করে তাদের অনুমোদন আছে কি-না সে খোঁজ নেয়ারও জরুরি মনে করেন না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এলাকার মুদি দোকান, মুরগির দোকান, ওষুধের দোকান, হাড়ি-পাতিল বিক্রির দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এলপিজি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে।

কেউ কেউ রাস্তায় বৈদ্যুতিক-টেলিফোনের খুঁটির সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডার বেঁধে রেখে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন জুয়েল এর মতে, এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় আর নতুন সংযোগ না দেওয়ায় এলপিজি গ্যাসের চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে মহল্লার দোকানগুলো কোনও নিয়ম-কানুন না মেনে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার বিক্রি করছে।

শহরের ডিআইটি এলাকার চায়না বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, কোনও সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ নয় আমরা তা বুঝতে পারি না। রান্না করতে প্রয়োজন হয় তাই বাধ্য হয়ে কিনি।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লা আল আরেফিন জানান, নিয়ম অনুযায়ী চওড়া ও খোলামেলা জায়গায় সিলিন্ডার ছয় বছর পর পর সিলিন্ডার বোতল পরীক্ষা করতে হবে। সেইসঙ্গে আগুন নেভানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।

নাগরিক সংগঠন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী'র সভাপতি নূর উদ্দিন আহমদের মতে, পাড়া মহল্লায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হয়। তাদের অধিকাংশই অনুমোদন ছাড়া এ ব্যবসা করে। এসব দোকানে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা পর্যন্ত দেখা যায় না। এসব রুখতে এখনই কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন এ নাগরিক নেতা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ আরটিভি নিউজকে জানান, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কেউ এলপিজি গ্যাস বিক্রি করতে পারবে না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়। এরপরও কেউ নিয়ম না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পচা-বাসি খাবার রাখার অভিযোগ, রেস্টুরেন্টকে জরিমানা 
আজ ৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
সোনাইমুড়িতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, খনন কাজ শুরু
যেসব এলাকায় বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না 
X
Fresh