• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কোটি টাকার মালিক (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:৩৫

মাত্র আট বছর চাকরি করে একাধিক বাড়ি গাড়িসহ কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী জাকির হোসেন। তার অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে দুদক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বর্তমানে এক প্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এনিয়ে নিউরোসাইয়েন্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোনও বক্তব্য দেয়নি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ মনে করেন, অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।

স্বাস্থ্যখাতের মালেক ড্রাইভার মতোই নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জাকির হোসেন। ২০১২ সালে স্বাস্থ্যের চাকরিতে জয়েন করে যেন হাতে আলাদীনের চেরাগ পান। আট বছরে বনে যান কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক।

দুদকের নথি অনুযায়ী ঢাকায় জাকিরের তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এরই মধ্যে কল্যাণপুর ও ষাট ফুট রাস্তার পাশের দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। প্লট রয়েছে ঢাকা উদ্যান ও সাভারে রয়েছে ৩টি গাড়ি।
এ বিষয়ে জাকিরের বক্তব্য জানতে সপ্তাহ খানেক ধরে নিউরোসাইয়েন্স হাসপাতালে গেলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষও আরটিভির সাংবাদিককে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়নি।

অন্যদিকে কল্যাণপুরে মাদরাসা রোডের ফ্ল্যাটে ৫ দিন গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। জাকিরের বাবার সাক্ষাত পাওয়া গেলেও বাসায় প্রবেশ করতে দেননি তিনি। পরদিন ভোর সাড়ে ৬ টায় বাসায় হাজির হলে, তার স্ত্রী জানান জাকির কয়েকদিন ধরে বাসায় থাকেন না। এছাড়াও জাকিরের স্ত্রীও নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে আর শাশুড়ি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে কয়েকজন কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, জাকির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আর অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিলেও জাকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, আমি কিছু বলতে পারবো না। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।

একই সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজির বলেন, যখনি কোনও সংবাদ মাধ্যমে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তখন প্রতিষ্ঠানের উচিত অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া। অপকর্মের তথ্য সঠিক ভাবে না দেয়া আর ব্যবস্থা না নেয়া এক ধরনের অপরাধ।

এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সচেতন মহলের।

জিএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh