‘বাংলা ভাষায় ভুল করলে আমরা লজ্জিত হই না’ (ভিডিও)
ভুল বানান, অবহেলা আর ইংরেজির আদলে বাংলার ব্যবহারে কোণঠাসা, রক্ত দিয়ে অর্জিত মায়ের ভাষা। এ পরিস্থিতির জন্য ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সবার দায় আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় শুদ্ধ বানান ও সর্বত্র বাংলার প্রচলন জরুরি বলছেন ভাষাবিদরা।
গণপরিবহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, অফিস কিংবা রাজনৈতিক ব্যানার সর্বত্রই ভুল বানানের ছড়াছড়ি। পরিবহন খাতের মতো বিভিন্ন যানবাহনের গায়ে লেখা বানানও যেনো নিয়ম-শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে! ভাষার মাসের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাজনৈতিক ব্যানারেও ভুল বানান লক্ষণীয়। আছে রোমান হরফে বাংলা লেখার চল।
আরও পড়ুন : শিশুদের ব্যবহার করে টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসছে ইয়াবা (ভিডিও)
বাংলা লিখতে না পারা নিয়ে নাম প্রকাশ না করে একজন বলেন, আমি মোবাইলে বাংলা লিখতে পারি না। গুগলে ইংরেজি লিখে তা বাংলা করে মোবাইলে ব্যবহার করি।
এই বিষয়ে আইপিএইচ স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষক মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যুক্তবর্ণের যে ব্যবহারগুলো আছে তা এখনও অনেকেই জানে না। মাতৃভাষার প্রতি যদি দক্ষতা না থাকে, তাহলে অন্য ভাষাতেও দক্ষতা অর্জন করা যায় না।
আরও পড়ুন : ১৭ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট চারলেন
মাতৃভাষা নিজ দেশে অবহেলার বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, কয়েকটা বাদে দেশের সবগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইংরেজিতে। আমরা ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারলে নিজেরা গর্ভবোধ করি। কিন্তু বাংলা ভাষায় ভুল করলে লজ্জিত হই না। আমরা এই ভাষাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছি। মাতৃভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসার অভাব আছে।
একই বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বানান সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হবে। সচেতনতার বিষয়টি ব্যক্তিগত হওয়া খুব জরুরি। এখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে জনগণকে সচেতন করা। এই বিষয়ে বাংলা একাডেমিরও দায়িত্ব আছে। তবে প্রকাশিত ভাষা অবশ্যই শুদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন : অভিজিৎ হত্যায় ৫ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ১
প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলায় লিখতে হবে বলে হাইকোর্টের নির্দেশনাও এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এজন্য সরকারের নজরদারির অভাবকে দুষছেন ভাষাবিদরা।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন