• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে পাচারের মহোৎসব চলছে (ভিডিও)

সেলিম মালিক, আরটিভি নিউজ

  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৮:৩৮
The festival of smuggling people's money abroad is going on
জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে পাচারের মহোৎসব চলছে

জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে পাচারের যেন মহোৎসব চলছে। গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি- জিএফআইর তথ্য মতে, সাত বছরে দেশ থেকে পাচার হয়েছে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা। কেবল ২০১৫ সালেই পাচার হয় এক লাখ কোটি। অর্থ পাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। পর্যবেক্ষকদের অভিযোগ, টাকা পাচার ঠেকাতে যারা কাজ করেন তারাই পাচারের বড় সুবিধাভোগী।

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নাশিদ কামাল ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ে জমা রেখেছিলেন প্রায় সাত কোটি টাকা। গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে না পেরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় বিপাকে পড়েন কিংবদন্তি এই শিল্পী পরিবার।

বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী নাশিদ কামাল বলেন, ‘আমরা সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। আমার চাচা মুস্তাফা জামান আব্বাসী হাত জোড় করে বললেন, আমার টাকাগুলো ফেরত দেন। না হলে আমি সংসার চলাতে পারবো না। এমন দিনও আমাকে দেখতে হলো বাংলাদেশে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিতর্কিত ব্যবসায়ী পিকে হালদার পিপলস লিজিং থেকে গ্রাহকদের তিন হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন। এতে ছয় হাজার গ্রাহকসহ বিপদে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের উদ্বেগজনক তথ্য দিচ্ছে বৈশ্বিক পাচার বিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান-জিএফআই। সংস্থাটির তথ্য মতে, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাচার হয়েছে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা। প্রতিবছর পাচার হয়েছে গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক এর সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ধনীদের মধ্যে শক্তিশালী গ্রুপটি কালো টাকা নিয়েছে। আর কালো টাকাগুলো লুকানোর জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। যারা বাধা দিবেন তারাই তাদের সহযোগিতা করছে।

জিএফআই-এর তথ্য মতে, দেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় ১৯ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে পাচারের শিকার। টাকা পাচারে বিশ্বের শীর্ষ ৩০ দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশের নাম। আর দক্ষিণ এশিয়ার ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

বিশ্ব ব্যাংক সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, জিএফআই এর রিপোর্ট থেকে যে সংখ্যাটি পাচ্ছি, সেটি থেকে পুরোপুরি অর্থ পাচারের অংকটাকে হিসাবের মাঝে তুলতে পারছি না। পাচার ঠেকানো গেলে দেশের অর্থনীতির চেহারাই পাল্টে যেতো।

পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দিয়ে আমরা কতগুলো পদ্মা সেতু করতে পারতাম। কলকারখানা করতে পারতাম। এখন এই টাকাগুলো তারা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। পাচার ঠেকাতে চিহ্নিত পাচারকারীদের দ্রুত শাস্তির মুখোমুখি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার।

জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাবনায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের তিনদিনব্যাপী আবির্ভাব মহোৎসব
‌‘ইন্ডিয়া আউট যারা বলছে, তারাই জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে’
স্বাধীনতা দিবসে ভারতের শুভেচ্ছা
বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্য জনগণের ওপর অত্যাচার : শেখ পরশ
X
Fresh