বিষণ্ণতা দূর করতে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান অভিভাবকরা (ভিডিও)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিতে স্বস্তি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। করোনাকালের স্থবিরতা আর বিষণ্ণতা থেকে বের হতে সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চান অভিভাবকরা। এদিকে ঝড়ে পরা কমিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে মিড ডে মিলসহ প্রণোদনা দেবার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। নয়তো ঝড়ে পরার হার আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকবে।
করোনার কারণে প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইডলাইনে বলা হয়েছে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ও মাস্ক পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে হবে। বেঞ্চে অন্তত তিন ফুট দূরত্বে বসতে হবে।
করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢোকার আগে তাপমাত্রা মাপতে হবে। বেঞ্চে তিন ফুট দূরত্বে বসতে হবে। পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে একজন বসবে।
এরইমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী কমিয়ে শিক্ষাক্রম চালু করা হবে।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হবে। আর প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসানো হবে।
করোনার ক্ষতি পোষাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে বেশিরভাগ অভিভাবক।
অভিভাবকরা বলেন, স্কুলে শিশুকে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ভিডিও ক্লাসে। সে জানে না স্কুল মানে কি। ওদেরকে যদিও সব নিয়ম শিখিয়ে স্কুলে ক্লাস শুরু করা যেতে পারে।
তবে করোনার দীর্ঘ বন্ধের পর প্রতিষ্ঠান খোলায় অনেক শিক্ষার্থীই ফিরবে না বলে আশঙ্কা শিক্ষাবিদদের। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে প্রণোদনা দিতে হবে।
গণস্বাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। কতজন শিক্ষার্থী আসতে পারল আর কতজন আসতে পারল না। কেন আসতে পারল না। তাদের জন্য সেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
শিক্ষাবিদরা বলেন, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে, আর শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিভাবকদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে।
জিএম/এমকে
মন্তব্য করুন