বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা (ভিডিও)
ধর্ষণের পাশাপাশি বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে দেশের নারী এ শিশুরা। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দায়ী করছেন, বিদেশি সংস্কৃতি আর মাদকাসক্তি এবং পারিবারিক মূল্যবোধের অভাবকে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে সামনে আরও ভয়াবহ সংকট তৈরি হতে পারে বলে মত তাদের। এসব ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিতেরও দাবি জানান তারা।
গেল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগানে বন্ধুর বাসায় গিয়ে নিহত হন এক তরুণী। ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক জানান, বিকৃত যৌনাচারের শিকার ওই তরুণী। গেল বছরের ১৯ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে ডোমের এক সহকারীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সে জানায়, মর্গে আসা বহু মৃত তরুণীকে সে নিয়মিত ধর্ষণ করতো। এছাড়া প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথায় বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, ২০২০ সালে তিন হাজার চারশ ৪০ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৭৪ জন ধর্ষণ, দুইশ ৩৬ জন গণধর্ষণ ও ৩৩ জন ধর্ষণের পর হত্যা এবং তিন জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট এক হাজার তিনশ ৪৬ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, খুব মারাত্মক কিছু না ঘটলে বেশিরভাগ সময় পরিবারের সদস্যরাই বিষয়টি চেপে যায়। ফলে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তা মোট ঘটনার একটি অংশ মাত্র।
পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা মাদকাসক্তি ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই বাড়ছে এ ধরনের অপরাধ মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, যৌন শিক্ষাটি যদি বিজ্ঞান সম্মত না হয়, যদি সে সবসময় সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির মধ্যে থাকে, তাহলে কিন্তু এ ধরনের বিকৃত যৌন কর্মগুলো তার মাঝে প্রকাশ পেতে থাকবে।
ঢাবির ক্রিমিনোলাজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগের অধ্যাপক কাজী ফারজানা বলেন, আমাদের শিক্ষার মাঝে পরিবর্তন আনা দরকার। যারা বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছে তাদের সচেতন করা উচিত।
অপরাধীদের দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এধরনের বিষয়গুলো রুখতে পারিবারিক শিক্ষা এবং স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার পরামর্শ তাদের।
জিএম/এমকে
আরও পড়ুন...
‘স্কুল খোলার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা দরকার’ (ভিডিও)
আনুশকার শরীরে মিলেছে রহস্যজনক ‘ফরেন বডির’ আলামত
মন্তব্য করুন