ফ্লাইওভারের ওপরে ময়লা-আবর্জনা দেখার যেন কেউ নেই (ভিডিও)
রাজধানীর ফ্লাইওভারের উপরের রাস্তা নিয়মিত পরিষ্কার করার কথা। অথচ মগবাজার-মৌচাকসহ প্রায় সব ফ্লাইওভারের উপরে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকলেও তা দেখার যেন কেউ নেই। নগর কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় বৃষ্টির সময় যেমন পানি জমে থাকে, তেমন শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি ওড়ায় বিপাকে নগরবাসী। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মেকানিক্যাল রোড সুইপার’ কিনলেও তা ব্যবহার করতে দেখা যায় না।
নগরীর যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলেও স্বস্তি মেলেনি নগরবাসীর জীবনে। ল্যাম্পপোস্টে বাতি না জ্বলায় রাতে ফ্লাইওভারগুলো যেমন এক অজানা আতঙ্কের নাম তেমনি দিনে ধুলাবালি ওড়ায় বিরক্তি চরমে পৌঁছে। যেখানে সেখানে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। ধুলাবালি জমতে জমতে যেন চর পড়ে গেছে। সড়কে বড় বড় পাথর যত্রতত্র পড়ে থাকায়, খুব সহজেই বোঝা যায় কতটা অভিভাবকহীন উড়াল সড়কগুলো।
পথচারীরা বলেন, বালুর জন্য অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় গাড়ি উলটে পড়ে আর ধুলার কারণে অনেক দুর্ঘটনা হয়।
মগবাজার-মৌচাক ও কুড়িল ফ্লাইওভারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ফেনসিডিলের বোতল থেকে শুরু করে সব ধরনের ময়লা আবর্জনা। অনেক স্থানে জমে আছে বালির স্তূপ। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হন মোটরসাইকেল চালকরা।
সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা শুষে নেওয়ার জন্য ঢাকা উত্তর সিটির কাছে ‘মেকানিক্যাল রোড সুইপার’ থাকলেও সেটির ব্যবহার খুব একটা চোখে পড়ে না।
ডিএনসিসি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান বলেন, ফ্লাইওভার সবগুলো আমাদের অধীনে না।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, ফ্লাইওভারগুলোর মালিকানা নিয়ে ঝামেলা দূর হওয়ায় এখন থেকে রক্ষণাবেক্ষণে আর সমস্যা হবে না।
ডিএসসিসি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন বলেন, যারা এই কাজটি করবে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফ্লাইওভারগুলো দেখভালে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো যত্নবান হবে বলে আশা নগরবাসীর।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন