কোরিয়ার সিদ্ধান্তে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা (ভিডিও)
কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। ফলে দেশে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। দ্রুত ভিসা চালুর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের কোরিয়া দূতাবাস বলছে, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ভিসা চালু করা হবে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানালেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং ভিসার ব্যাপারে কোরিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুর দিকে অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ কোরিয়া থেকেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশে আসে।
এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া এবং ভিসা বন্ধ থাকায় শিক্ষাঙ্গনে ফিরতে পারছে না তারা। আবার নতুন শিক্ষাবর্ষে স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদানে যুক্ত হতে পারছে না। ভুক্তভোগীরা জানালেন, অক্টোবরে কিছু বাংলাদেশি কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ সনদ নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর আবার পজিটিভ আসায় কোরিয়া সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশ থেকে করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে যাচ্ছে, ওখানে গিয়ে পজিটিভ ধরা পড়ছে। এই কারণে তারা আস্থা পাচ্ছে না আমাদের ভিসা চালু করার জন্য। আমরা তাদের কাছ থেকে যে স্কলারশিপ পাচ্ছি তা হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যদি ভিসা না পাই বা সেখানে না যেতে পারি। তাহলে যারা টিশন ফি দিয়েছে, তাদের জন্য একটি হুমকি বলা যেতে পারে। সরকারের কাছে অনুরোধ আমরা যাতে যেতে পারি।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে না পারলে কোরিয়ায় পড়ার সুযোগ হারানোর সঙ্গে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে অনেকে। এ বিষয়ে কোরিয়া দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা। শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা বিবেচনা করা হবে।
পররাষ্টমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশটির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা তাদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। শুধু বাংলাদেশ না অন্য দেশের কোনও শিক্ষার্থীও যেতে পারছে না।
মন্ত্রী আরও জানান, বিদেশে যেতে কোভিড টেস্ট নিয়ে যাতে ভোগান্তি না হয় সেদিকেও নজর রাখছে সরকার।
জিএম/ এমকে
মন্তব্য করুন