সম্রাট-সাঈদ খোকন চক্রের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ইউপি চেয়ারম্যানও (ভিডিও)
পরিচয় জানার পরও সম্রাট-সাঈদ খোকন চক্রের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গোপালগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম। দোকানে তালা লাগিয়ে তার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বড় ভাইকে দিয়ে ফোন করিয়েও কাজ হয়নি। রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট ব্যবসায়ীর বক্তব্যে উঠে এসেছে জিম্মি করে চাঁদাবাজির এমন ভয়াবহ চিত্র।
ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্রাট সাম্রাজ্যের পতন ঘটলেও এখনও তার ছায়া রয়ে গেছে। বেরিয়ে আসছে চাঁদাবাজির নানা কাহিনী। সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে দুটি দোকান কিনেছিলেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম। তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের কথায় চাঁদাবাজি করতেন সম্রাট। তাকে রোখার যেন কেউ ছিল না। কাজে আসতো না কোন তদবিরও।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ১২ নং গোহালা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বলেন, সম্রাট গ্রেপ্তার হওয়ার এক মাস আগে আমাকে কল দিলো। মেয়র সাঈদ খোকনের সাথে কথা হয়েছে টাকা দিতে হবে। সম্রাট বলছে এই টাকাগুলো দিলে দোকান বৈধ করে দিবে। সম্রাট বলেন আমার অফিসে আসেন। সে তখন আমাকে বলেন আপনি যেহেতু গোপালগঞ্জের চেয়ারম্যান তাহলে ৫০ হাজার টাকা কম দিয়েন। সে তখন জানান মেয়র সাঈদ খোকনের সাথে কথা হচ্ছে তার। এই দোকান গুলো বৈধতা দিবে।
সম্মান বাঁচাতে দোকানে তালা লাগাতে নিষেধ করলেও মন গলেনি চক্রটির। চাঁদার টাকা পরিশোধ করেই মুক্তি পান তিনি। টাকা ফেরতের পাশাপাশি দায়ীদের বিচার চেয়েছেন এই ব্যবসায়ী। ক্যাসিনোকাণ্ডে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এখন কারাগারে। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বর্তমান মেয়রের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের প্রশংসা করেন।
আবারও যেন চাঁদাবাজ চক্রটি ফিরে না আসে সেজন্য শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন