‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিকল্প বাজার গড়ে তুলতে হবে’ (ভিডিও)
চালের আমদানি শুল্ক সাড়ে ৩৭ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এরপরও দাম নাগালে আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভোক্তারা। ভোক্তা অধিকার সংস্থা ক্যাব মনে করে, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
আমনের ভরা মৌসুমে যখন চালের দাম কমার কথা, তখন দেশের সব বাজারে বাড়ছে প্রধান খাদ্য পণ্যটির দাম। বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় মজুদও কমেছে।
সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা টিসিবির হিসেবে বছরের ব্যবধানে ৪৭ শতাংশ বেড়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মাঝারি মানের চাল ২৫ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ১৯ শতাংশ বেড়ে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম এখন ৬২ থেকে ৬৫ টাকা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশে চালের অভাব নেই টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে। দাম বাড়ার জন্য দায়ী মিল মালিকদের সিন্ডিকেট। এ অবস্থায় দামের লাগাম টানতে সরকার চালের আমদানি শুল্ক সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, অর্ডার করলে একদিন পরে চাল পাওয়া যায়। সরকার যে সিদ্ধান্ত এখন নিয়েছে, এটি আর দুই মাস আগে নেওয়ার দরকার ছিল। তাহলে দাম বাড়তো না। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে।
কম খরচে আমদানির সুযোগ পেলেও বাজারে ন্যায্য দামে চাল পাওয়া যাবে কিনা, ক্রেতাদের মনে সে সংশয় দূর হচ্ছে না।
ক্রেতারা বলেন, এ সুযোগ যেনো সাধারণ মানুষ পায়। বাংলাদেশে সমস্ত সেক্টরে সিস্টেম আছে সব আটকা-আটকি সিস্টেম। কিছু ব্যবসায়ীরা এরকম সিস্টেম করে থাকে।
আমদানিতে সাময়িক সঙ্কট দূর হতে পারে। তবে ক্যাব বলছে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত মনিটরিং ও বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
ক্যাব এর সহ-সভাপতি এস নাজের হোসাইন বলেন, টিসিবি ও ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি যদি স্বাভাবিক রাখা যায়, তাহলে কিন্তু বিকল্প বাজার তৈরি হয়। বিকল্প বাজার তৈরি না হলে ব্যবসায়ীদের ওপর যদি সম্পূর্ণ বাজার ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে তারা এভাবে ভোগাবে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, করোনাকালে চালের পাশাপাশি নিত্য পণ্যের ঘাটতি মেটাতে উৎপাদন যেমন বাড়াতে হবে তেমনি কৃষকদের জন্য সুদমুক্ত আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থাও জরুরি।
জিএম/এমকে
মন্তব্য করুন