করোনায় ৬ মাসের ধাক্কা সামলে গতি ফিরছে ছয় প্রকল্পে (ভিডিও)
কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে দেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া ১০ মেগাপ্রকল্প। তবে ৬ মাসের ধাক্কা সামলে গতি ফিরছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসহ ছয় প্রকল্পে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকার চাইলে ফাস্টট্র্যাক মনিটরিং টাস্কফোর্স গঠন করে ৪ থেকে ৫ মাস বেশি সময়ে এসব কাজ শেষ করা সম্ভব।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ছোবলে অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগে। যার প্রভাব পরে বাংলাদেশেও। করোনার কারণে ১০টি বড় প্রকল্পের অর্থায়ন ও কাঁচামাল আমদানির গতি কমে। প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকে কাজ।
ধাক্কা সামলে শুরু হয় নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ। ১০ ডিসেম্বর ৪১টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সংযুক্ত হয় প্রমত্তা পদ্মার দুই পাড়। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮০ ভাগ। করোনার কারণে নির্মাণ ব্যয় ও সময় বাড়াতে হয়। ২০২২ সালে সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা।
করোনার ধাক্কা লাগে মেট্রোরেলেও। প্রকৌশলী ও পরামর্শকদের অনেকেই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপানের নাগরিক হওয়ায় বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এখন চলছে রেল লাইন বসানো, টার্মিনাল তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজ। প্রকল্পের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে ৭১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে কারওয়ান বাজার-মতিঝিল অংশে কাজ হয়েছে ৪৫ ভাগের কম।
এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজে ৩-৪ মাস ধীরগতি হলেও জার্মান, রাশিয়া ও ভারত থেকে আসা লোকবল যুক্ত হওয়ায় এখন পুরোদমে কাজ চলছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বিদেশি অর্থায়ন যেন বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যেগুলো চলমান কাজ সে গুলোতে অর্থায়নের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শিফট বাড়ানোর জন্য আয়োজন করতে হবে এবং সতর্কতার সাথে কৌশলী পরিকল্পনা নিতে হবে।
কর্ণফুলীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণ কাজ দ্রুত এগুচ্ছে। টানেলের দুটি টিউবের মধ্যে একটির কাজ শেষ। অপরটির কাজও চলতি মাসে শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ২০২২ সালের ডিসম্বরে টানেলটি খুলে দেওয়া হবে।
এছাড়া করোনার কারণে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর দোহাজারী-ঘুনধুম রেলপথ নির্মাণ মাতার বাড়ি ও রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ নির্ধারণের সময়ে শেষ করা কঠিন হবে।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন