• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘টাকা না দিলে সাঈদ খোকনের বাড়ি ঘেরাও করবো’ (ভিডিও)

এ আর বাদল, আরটিভি নিউজ

  ১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:৪২
'If I don't pay, I will besiege Saeed Khokon's house',
রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২

কথিত ব্যবসায়ী নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু-ফিরোজ আহমেদের মাধ্যমে রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত না দিলে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বনানীর বাড়ি ঘেরাওসহ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাঈদ খোকনকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সুরাহার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ফুলবাড়ীয়া সুপার মার্কেট-২ এর ব্যবসায়ীরা।

এ যেন টাকা খেকো রাক্ষসের রাজত্ব। রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর গেইটের পিলারের সঙ্গে মাত্র আড়াই থেকে তিন ফিট একটি দোকানের জন্য কয়েক ধাপে নেওয়া হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। টাকার প্রমাণ রাখতে ব্যবসায়ী নিজেই মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে উত্তরা ব্যাংকের ফুলবাড়িয়া শাখায় গিয়ে সাঈদ খোকনের দেওয়া বিশেষ অ্যাকাউন্ট নম্বরে অন্যদের মতো টাকা জমা দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, অফিসের মাধ্যমে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন টাকা নিয়েছে। আমরা উত্তরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছি মেয়রের অ্যাকাউন্টে।

সর্বস্ব হারানো ব্যবসায়ীরা এখন মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না। নির্যাতন বা গুম-খুনের আশঙ্কা তাড়া করছে তাদের। তবে সর্বস্বান্ত হওয়া ফুলবাড়িয়া-২ মার্কেটের অনেক দোকান মালিকের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তারা। জোর করে নেওয়া কোটি কোটি টাকা ফেরত না পেলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, আমরা বর্তমান মেয়রের সাথে কথা বলতে চাই এবং আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে চাই। সাবেক মেয়র আমাদের তিন মার্কেট থেকে ৭শত কোটি টাকা নিয়েছে। আমরা প্রতি দোকান থেকে টাকা তুলে দিয়েছি। সাঈদ খোকনের বিচার প্রধানমন্ত্রী করবে আর আমাদের টাকাগুলো ফিরত দিবে। আমরা এক হয়ে আমাদের টাকা আদায় করবো। প্রয়োজনে সাঈদ খোকনের বাড়ি ঘেরাও করবো।

কথিত দুই ব্যবসায়ী নেতাও বলছেন, নগদের পাশাপাশি চেকের মাধ্যমেও তারা সাঈদ খোকনের নির্দেশিত অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছেন।

জাকের সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এর একটি হিসাব ছিল, তাকে ৫ থেকে ১০ লাখ দিতে হবে। তার ক্যাশিয়ার টাকা তুলে ওনার অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে।
জাকের সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, অ্যাকাউন্ট কার সেটা পেপার বলবে। সাঈদ খোকনের কাছ থেকে ডকুমেন্ট নেওয়া হয়েছে। আমাকে যেখানে যেতে বলবেন আমি যাব। দুদকে আমি গিয়েছি এবং ফাইলও দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।

যদিও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বক্তব্য জানতে বারবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও জবাব দেননি। অপরদিকে মার্কেটে বরাদ্দ না হওয়া দোকানগুলোতে ব্যবসার সুযোগ চেয়েছেন ক্ষতির শিকার ব্যবসায়ীরা।
জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা
বংশমর্যাদায় এক গরুর দাম কোটি টাকা!
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২০ এপ্রিল)
টাকার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে: ব্যারিস্টার সুমন
X
Fresh