• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে মন্ত্রণালয় (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৩২
শিক্ষা মন্ত্রণালয়,
শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিবর্তন করা হবে বেশিরভাগ পাঠ্যবই। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষাই নেয়া হবে না। দশম শ্রেণির আগে থাকছে না কোনো পাবলিক পরীক্ষা। নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষকরা বলছেন তাদের জন্য মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়লে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রমে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর হবে। দশম শ্রেণির আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা থাকবে না। নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা নামে কোনো বিভাগ থাকবে না। সেটি ঠিক হবে উচ্চ মাধ্যমিকে।

দশম শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের ক্ষেত্রে ভাষা ও যোগাযোগ, জীবন ও জীবিকা, সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত হবে। তৃতীয় শ্রেণির আগে স্কুলে কোনো পরীক্ষা হবে না। দশম শ্রেণিতে গিয়ে হবে পাবলিক পরীক্ষা। শুধুমাত্র দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচীর ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে। পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং জেএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকবে। তবে জাতীয় দিবসে খোলা থাকবে। আগের সিলেবাসের অনেক বিষয় বাদ দেয়া হবে এবং নতুন বই সংযোজন করা হবে।

শিক্ষার্থীরা বলছে করোনায় অনেকদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর শিক্ষা পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনে অনেকটাই অসুবিধা হবে তাদের।

শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, করোনার মাঝে যদি নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা যুক্ত করা হয় তাহলে আর বেশি সমস্যায় পড়ে যাবো। বইয়ের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে সেটির সঙ্গে আমরা পরিচিত। নতুন বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হতে আমাদের একটু সমস্যা হবে।

অভিভাবকরা বলছেন পাঠ্যক্রমে ঘনঘন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য মানসিক চাপ।

অভিভাবকরা বলেন, একজন ক্লাস ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে আরেকজন দশম শ্রেণিতে পড়ে আগামী বছর সে পরীক্ষা দেবে। কিন্তু সামনে কী হবে সে জানতে পারছে না বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায়ী কোন বিভাগে পড়বে তা কিন্তু অজানা।

নতুন শিক্ষা পদ্ধতি আধুনিক ও যুগোপোযোগী মনে করছেন শিক্ষকরা। বললেন এর জন্য সবচেয়ে জরুরি রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যায়ে সব শিক্ষকের জন্য গুণগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

আদমজি ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল এর সিনিয়র শিক্ষক মো. আবুল হাসান বলেন, সবচেয়ে ভালো দিক মনে হয়েছে আমার কাছে, কারণ এখানে একটি জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তাবনা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটির সঙ্গে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিচিত করা বেশি জরুরি।

সেন্ট ফান্সসিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আফরীনা হক বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং আবার তারাই যদি জেলা উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের গিয়ে প্রশিক্ষণ দেন তাহলে সম্ভব।

শিক্ষকরা মনে করছেন নতুন সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অভ্যস্ত করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে বই প্রস্তুত করা হবে এবং ২০২২ সাল থেকে নতুন সিলেবাস কার্যকর করা হবে।

জিএম /এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে চাকরির সুযোগ
শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
কত রোজা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলবে, আবারও জানাল দুই মন্ত্রণালয়
মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকবে কি না, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
X
Fresh