• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চাকরি হারিয়ে মহাবিপদে জাতীয় দলের সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় (ভিডিও)

সেলিম ফরাজী, মাদারীপুর প্রতিনিধি

  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:২২

চাকরি হারিয়ে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন জাতীয় দলের সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় কবিতা রানী মালো। করোনাকালে বিজেএমসি মাসিক সম্মানি ভাতা বন্ধ করে দেওয়ায় খেয়ে না খেয়ে থাকার অবস্থায় পড়েছেন ২৩ বছর ধরে জাতীয় জেলা ও সার্ভিসেস দলের হয়ে খেলা এই নারী হ্যান্ডবল খেলোয়াড়।

১৯৯৭ সালে মাদারীপুর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় হ্যান্ডবল খেলা শুরু কবিতা রানী মালোর। ২০০১ সালে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে পরের বছর সুযোগ পান বিজেএমসি দলে। খেলা, ঘর-সংসার আর মেয়েদের হ্যান্ডবল প্রশিক্ষণ সব মিলিয়ে ভালোই চলছিল কবিতা রানীর দিনকাল।

কিন্তু করোনাভাইরাস জেনো সব এলোমেলো করে দিয়েছে। লম্বা সময় খেলাধুলা নেই। সব খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিয়েছে বিজেএমসি। তাই মাসিক সম্মানিও বন্ধ কবিতা রানীর। এদিকে টিবি ও কিডনি রোগে আক্রান্ত স্বামীকে নিয়ে এখন অকূলপাথারে এই হ্যান্ডবল খেলোয়াড়।

হ্যান্ডবল খেলোয়াড় কবিতা রানী মালো বলেন, আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারছি না। সে আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। চিকিৎসা করানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। চিকিৎসা ঠিকমতো না হওয়ার কারণে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন যদি সরকার থেকে সহযোগিতা করতো বা কোনো হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারতাম।

লম্বা ক্যারিয়ারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের জন্য বয়ে এনেছেন অনেক সাফল্য। শোকেসে সাজানো স্মারকগুলো নীরব থেকেও বলে দিচ্ছে সে কথা। কিন্তু আজ প্রয়োজনের সময় সেগুলো বড়ই মূল্যহীন মনে হচ্ছে কবিতা রানীর কাছে। তার অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ড. রহিমা খাতুন বলেন, আমরা যোগাযোগ করবো এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে কিভাবে সহযোগিতা করা যায়, সেই বিষয়ে চেষ্টা করবো।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার ও নারী হ্যান্ডবল ট্রেনিং সেন্টারের সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, তার মাঝে যে সক্রিয়তা রয়েছে এবং দেশ ও টিমকে যা দিয়েছে তা অনেক বড় অবদান। তার বিপদের সময় জেলা পুলিশ পাশে থাকবে।
স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। কবিতা রানী সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার আর্জি জানান সরকার ও বিত্তবানদের কাছে।
জিএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বন্ধুর বাসায় বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে মহাবিপদে তরুণ!
X
Fresh