• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফরিদপুরে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা

জাকির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর

  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৯:০২
Illegal brickfields are being built in Faridpur without approva
ফরিদপুরে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা

সরকারি অনুমোদন ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরিদপুরে গড়ে উঠছে একের পর এক ইটভাটা। জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় চলছে এসব বেআইনি ইটভাটার ইট পোড়ানোর কর্মকাণ্ড। এসব দেখেও না দেখার অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

এদিকে জেলার সদরপুরের পেঁয়াজখালিতে অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটা স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলায় ১১৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ ইটভাটা রয়েছে ২৫টি। যার মধ্যে চলতি বছরে নবায়ন করা হয়নি ১৪টি আর পরিবেশ ছাড়পত্র নেই ১১টির।

জেলার সদর উপজেলার মেসার্স এ ফি আই ব্রিকস, মেসার্স মণ্ডল ট্রেডার্স ব্রিকস, মেসার্স লুৎফুন্নেসা ব্রিকস, মধুখালী উপজেলার মেসার্স এ আর ব্রিকস, মেসার্স এম আর ব্রিকস, কে এম জেড আর ব্রিকস, বোয়ালমারী উপজেলার মেসার্স কে বি ব্রিকস ও আহসান কবির হেলাল ব্রিকস, চরভদ্রাসন উপজেলার মেসার্স ফরহাদ হোসেন ব্রিকস এবং ভাঙ্গা উপজেলার মেসার্স হাওলাদার ব্রিকস নামে ১১টি ইট ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।

জেলার সদরপুর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মেসার্স ফকির ব্রিকস নামে একটি ইটভাটার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। গত ২৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট ভাটা মালিককে তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, তাদের ফসলী জমি পাঁচ বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে ইটভাটা করা হচ্ছে। যাদের মূল লক্ষ্য নদীর বালি ও মাটি অবৈধভাবে উত্তোলন করা। এতে সরকার শুধু রাজস্বই হারাবে না বরং ইট পোড়ানো ও হরদম বালির ট্রাক চলাচলের জন্য সেখানে জনসবতিও হুমকির সম্মুখীন হবে।

এ ব্যাপারে তারা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। সম্প্রতি এলাকাবাসী ইটভাটা স্থাপনের বিরোধিতা করে বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

এ ব্যাপারে মেসার্স ফকির ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী এখলাস আলী ফকির বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য আমরা আবেদন করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি কাগজ আমরা পেয়েছি।

ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচ এম রাসেদ জানান, এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সদরপুরের মেসার্স ফকির ব্রিকসের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও যেসব ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ইট পোড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।

ফরিদপুরের জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, আয়কর ও ভ্যাট দিয়ে সরকারের আনুষঙ্গিক বিধিবিধান মেনে আমাদের বৈধ উপায়ে ইটভাটার কার্যক্রম চালাতে হয়। এ বাবদ প্রতিটি ইটভাটায় বছরে বিপুল পরিমাণ খরচ হয়। যারা এসব নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে ভাটা চালাচ্ছে তাদের এই টাকা খরচ হয় না। এতে আমরা যারা বৈধ ভাটার মালিক তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এজন্য অবৈধ ও অনুমোদনহীন ইটভাটা বন্ধে সরকারের ত্বরিত হস্তক্ষেপ জরুরি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক রায় বলেন, যেসব ভাটা মালিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক পেয়েছি তাদেরকেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর যাদের কাগজপত্র যথাযথ নেই তাদেরকে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এরপর নির্দেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে এলাকা রণক্ষেত্র, ২ ভাই নিহত
শিল্পপতির সংসার ছাড়তে গরিবের মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৫
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৪
X
Fresh