গ্যাসের স্বল্প চাপে ধুঁকছে সাভার-আশুলিয়ার কারখানাগুলো (ভিডিও)
দেড় মাস ধরে গ্যাসের স্বল্প চাপে ধুঁকছে সাভার-আশুলিয়ার কারখানাগুলো। এতে উৎপাদন কমায় রপ্তানি আদেশ ঠিক রাখতে পারছেন না মালিকরা। ফলে বাজার হারানোর শঙ্কায় আছেন তারা। বিষয়টি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও সমাধান মিলছে না।
সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টির মতো কারখানা আছে, যার কয়েকটি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট। এগুলোর অন্যতম ডিজাইনার ফ্যাশন স্প্রিং ট্রেড ঢাকা-সাংহাই সিরামিক আলফা ক্লথিং ও নায়াগ্রা লিমিটেড। করোনার ধাক্কা সামলে পুরোদমে উৎপাদন ও রপ্তানিতে যাওয়ার পর নতুন করে এসেছে গ্যাসের স্বল্প চাপের সমস্যা। সাভার-আশুলিয়ার বেশিরভাগ কারখানার একই অবস্থা।
এই অবস্থা প্রায় দেড় মাস ধরে। ঠিকমতো গ্যাস না পাওয়াতে অনেক কারখানার উৎপাদন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না।
ডিজাইন ফ্যাশন লি. এর মহা-ব্যবস্থাপক ফাইজ উল্লাহ স্বপ্ন বলেন, ১৫ দিন ধরে গ্যাসের সমস্যাটি বেশি হচ্ছে। যার কারণে শিপমেন্টে আমরা একটু পিছিয়ে গেছি, সেজন্য আমাদের ইয়ার শিপমেন্ট করতে হতে পারে। সমস্যার সমাধান চেয়ে তিতাসের সাভার অফিসে চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি।
ডিজাইনার ফ্যাশন লি. এর সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক মীর মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, তারা বলেছে মূল লাইনে চাপ কম। যার কারণে আমাদের লাইনে গ্যাস কম। জিটিসিল এর থেকে চাপটি কমিয়ে রেখেছে তাই এই এলাকায় চাপ কম।
তিতাস গ্যাসের সাভার অফিস বলছে, এর সমাধান তাদের হাতে নেই। প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। তবে কোনও আশার বাণীও শোনাতে পারলেন না এই কর্মকর্তা।
সাভার তিতাস গ্যাস এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন, বর্তমানে আমাদের সরবরাহ ঘাটতির কারণে সব লাইনে গ্যাসের চাপ কম।
কারখানা মালিকরা বলছেন, সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে তারা রপ্তানি আদেশ হারাতে পারেন। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ।
জিএম/ এমকে/ জিএ
মন্তব্য করুন