রাজধানীতে ঠেকানো যাচ্ছে না ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বিস্তার (ভিডিও)
উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে না পারায় ঠেকানো যাচ্ছে না ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বিস্তার। এডিসের বংশবিস্তারের ৪০ ভাগের উৎস নির্মাণাধীন ভবন। সিটি করপোরেশন উৎস ধ্বংসের দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা এতে সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন লোক দেখানো অভিযানের পরিবর্তে ওধুষের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা উচিত।
উত্তর সিটির অভিজাত এলাকা গুলশান বারিধারা কিছুটা পরিচ্ছন্ন হলেও বাড্ডা, ভাটারা, রামপুরা, উত্তরা, মিরপুরসহ অন্যান্য এলাকায় মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী।
স্থানীয়রা বলেন, মশার অত্যাচারে রাতে ঘুমানো যায় না। মশার কারণে পরিবার নিয়ে থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানে তো অনেক ধরণের মশা রয়েছে এবং সন্ধ্যার পর তো থাকায় যায় না। সিটি করপোরেশন থেকে যে ওষুধ দেয় তা দিয়ে কাজ হয় না।
এসব এলাকার নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করলেই জমে থাকা পানিতে দেখা মিলবে এডিস মশার লার্ভা।
উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দাবি প্রতিনিয়তই চলে অভিযান, করা হয় জরিমানা। তবু অসচেতন ভবন মালিকরা।
ডিএনসিসির উপ- প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, গত মে মাস থেকে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি প্রতি মাসে। আমরা মনে করেছিলাম ডেঙ্গু শেষ হয়ে গেছে। যার জন্য কিন্তু আমরা সেপ্টেম্বর মাসে কোনও রকমের স্পেশাল ড্রাইভে যায়নি।
অসময়ের বৃষ্টি এডিস মশার ঘনত্ব বাড়িয়েছে বলে জানান কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, নগর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও বাড়ির আঙ্গিনা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমরা ঢাকা শহরে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করে দেখেছি নির্মাণাধীন।
ভবন ও যেসব এলাকায় পানি স্বল্পতা রয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণ এডিস মশার ঘনত্ব পাচ্ছি। এই এডিস মশা সারা বছর ডেঙ্গু রোগ ছড়াবে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে নির্মাণাধীন ভবনে একটানা তিন দিন পানি জমিয়ে না রাখার আহ্বান জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।
জিএম/এম/এমকে
মন্তব্য করুন