ভবন হস্তান্তর জটিলতায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল (ভিডিও)
ভবন হস্তান্তর জটিলতায় ভুগছে গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ ত্রুটির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি বুঝে নিচ্ছে না। আর নির্মাণ বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত বিভাগ বিষয়টি অস্বীকার করছে।
গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া এলাকায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের এপ্রিলে ১৪৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তার মায়ের নামে এই প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন।
অভিযোগ আছে, পরিচালক ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ নির্মাণ ত্রুটির দোহাই দিয়ে নিজের সুবিধার জন্যই প্রতিষ্ঠানটি গ্রহণ করছেন না এবং নিয়ম-বহির্ভূতভাবে তিনিসহ অনেকেই সেখানকার সরকারি আবাসন-সুবিধা ভোগ করছেন।
এক গৃহকর্মী বলেন, আমি এখানে স্যারদের রান্না করি। একটি পরিবার একজন নার্স এখানে উঠেছেন।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের নির্মাণ ত্রুটির বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি যখন চিঠি দিয়েছি তখন উনি কোনো উত্তর দেননি। যখন সরাসরি গিয়েছি তখন বলেন আমি কেন নিবো এখানে আমি তো পরে এসেছি।
কোয়ার্টারে নিজে অবৈধভাবে থাকার বিষয়টি এড়িয়ে পরিচালক বলেন, বরাদ্দ ছাড়া যারা ভবনগুলোতে অবস্থান করছে তাদেরকে দ্রুত নামিয়ে দেওয়া হবে।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রফেসর ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যেহেতু ত্রুটিগুলো এখনও ঠিক করে দেয়নি সে কারণে প্রকল্প পরিচালক বুঝে নেয়নি। কেউ যদি সাময়িকভাবে থেকে থাকে তাহলে নোটিশ দিয়ে একদিনের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হবে।
হাসপাতালের ভবন হস্তান্তর নিয়ে দুইপক্ষের চিঠি চালাচালি বন্ধ করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হলে বাঁচবে রাজস্ব, বাড়বে চিকিৎসার মান; এমনটাই প্রত্যাশা করেন সাধারণ মানুষ।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন