‘টিউশন ফি ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো ফি নেয়ার সুযোগ নেই’ (ভিডিও)
টিউশন ফি নেয়ার ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন- শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। দুই একটি বাদে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নির্দেশনার আলোকে কাজ শুরু করেছে। তবে বেসরকারিভাবে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের কার্যক্রম চালু রাখতে সরকারের কাছে সহযোগিতার দাবি জানান।
করোনাভাইরাসের কারণে গেল ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। চলবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ অবস্থায় অভিভাবকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে করোনাকালে শিক্ষা ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বুধবার এ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। ২০২১ সালের শুরুতে যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন বা এ ধরনের কোনও ফি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিতে পারবে না।
সরকারের এ ঘোষণাকে প্রশংসনীয় বলছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেতন আদায়ে অতিরিক্ত চাপের কথাও স্বীকার করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলে টিউশন ফি বাদে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে না। প্রথম ছয় মাসের টিউশন ফি মওকুফ করেছে এবং পরের ছয় মাসের টিউশন ফি নিয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, যদি স্কুলের বেতন না দেই তাহলে পরীক্ষা দিতে পারব না।
অভিভাবকরা বলেন, আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। কারণ সরকার অন্য টিউশন ফি গুলো নিচ্ছে না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, সরকারের ঘোষণার আগেই মানবিক দিক বিবেচনায় অনেকেই এমন কার্যক্রম শুরু করেছেন। তবে অসচ্ছল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সরকার ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী আরটিভি নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উভয়কে নিয়েই সরকারকে ভাবতে হবে। মূলধারায় প্রধানত নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা যায়। এই সমস্ত পরিবারের একটি বিশাল অংশ বর্তমানে আয় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। টিউশন ফি ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো ফি নেওয়ার সুযোগ নেই। একটি নীতিমালার আওতায় প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে হবে। যার মাধ্যমে বেসরকারি পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিনা সুদে ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ পেতে পারে।
দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ঊনচল্লিশ হাজার।
জিএম/পি
মন্তব্য করুন