• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বনভূমি দখল করেছে প্রভাবশালী ৯০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান (ভিডিও)

জুলহাস কবীর

  ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১০:২৬

দেশের পৌনে তিন লাখ একরেরও বেশি বনভূমি জবরদখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী ৯০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে এসব জায়গা উদ্ধার কিংবা বন সংরক্ষণ বা বনায়নের তেমন কোনও তৎপরতা চোখে পড়ছে না। পরিবেশ ও রাষ্ট্রের এত বড় ক্ষতির জন্য বন বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের দায়ী করেছেন পরিবেশবাদীরা।

প্রকৃতি মানেই প্রাণ। আর সবুজ মানেই প্রকৃতি। চির সবুজের এই বাংলায় সবুজই প্রাণের স্পন্দন এবং বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র। অথচ বেঁচে থাকার সেই অন্যতম উৎসকে প্রতিদিন নির্বিচারে উজাড় করা হচ্ছে হেসে খেলে।

স্বাধীনতার পর থেকে চির সবুজের বাংলা এখন অনেকটাই হারিয়েছে তার রূপ-সৌন্দর্য। দেশের দুই লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর বনভূমি ৯০ হাজার ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের জবরদখলে আছে।
গেল মাসে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এ তথ্য দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কাছে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার দুইশ ২৪০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশে সেটা নেমে এসেছে ১৫ শতাংশেরও নিচে।

অবশ্য এই হিসাব সরকারের বন অধিদপ্তরের। পরিবেশবাদীদের মতে বনভূমির পরিমাণ এর চেয়েও কম।

বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বনকে রক্ষা করতে হলে প্রথমে বন আইনের পরিবর্তন আনতে হবে। বন প্রশাসনের স্বচ্ছতা আনতে বন বিভাগকে তার কাজে সহযোগিতা করতে একটি নিরপেক্ষ কমিশন বোর্ড গঠন করতে হবে। এছাড়াও বনের সীমা চিহ্নিত করতে হবে এবং এই সীমা চিহ্নিত করতে হবে নদীর মতো করে।

বনভূমি বেদখল হয়ে যাওয়া যেমন উদ্বেগের বিষয়, এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে অবহেলা তেমনই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা। তবে দায় মানতে নারাজ প্রধান বন সংরক্ষক। বনভূমি উদ্ধারে বন বিভাগ সচেষ্ট বলে জানান তিনি।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ৪০.১% বন আছে যেটি বনের সংখ্যা অনুযায়ী। ২০৩০ সালে এসডিজির লক্ষ্য হচ্ছে ১৭% বনভূমি করতে হবে। সেই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য দখলকৃত বন ভূমি উদ্ধার করতেই হবে।
সরকার এক ইঞ্চি জমিও বেদখলে রাখতে চায় না। বনভূমি উদ্ধারে নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলেও জানান পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। বন অধিদপ্তর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তালিকা পাব, তাদের কাছ থেকে এবং তালিকা পাওয়ার পরেই উদ্ধার কাজ করা হবে।

জিএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh