• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দারাজের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ (ভিডিও)

এ আর বাদল

  ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৪৫
ফাইল ছবি

কেবল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরেই নয় সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমেও অনলাইন শপ দারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। ইউটিউবাররা বলছেন, সাধারণ মানুষ যেন দারাজের প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন সেজন্য তাদের সচেতন করতেই এমন উদ্যোগ। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদের মতে, ক্রেতার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।

সেলফি স্টিক অর্ডার করে পেয়েছেন পরিত্যক্ত স্কচটেপের ফেলে দেয়া অংশ। অনলাইনশপ দারাজের মাধ্যমে এভাবেই একের পর এক প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। নাম প্রকাশ না করে একজন ইউটিউবার বলেন, শুধু দারাজ না যতগুলো ই-সাইট আছে সবগুলোর একই সমস্যা। তারা শুধু ব্যবসার লাভটি দেখে গ্রাহকের স্বার্থ দেখে না। ওইসব সাইট যে অফারগুলো দিচ্ছে সেগুলোর ফাঁদে যাতে মানুষ না পরে সেটি হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।নিজেরা প্রতারিত হলেও অন্যরা যেন এর ফাঁদে না পড়েন সে দায়বদ্ধতা থেকে এসব কথা জানান ইউটিউবে।

বিষয়টি যাদের দেখার কথা সেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরেও এ পর্যন্ত দারাজের প্রতারণার শিকার ৮১৭ জনের অভিযোগ জমা পড়েছে। একইরকম অভিযোগ আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়েও।

দারাজের পণ্য কিনে প্রতারিত হলেও পণ্যমূল্য কম হওয়ায় ঝামেলা মনে করে অনেকে আবার অভিযোগও করেন না।দারাজসহ অন্য কোনও অসাধু ই-কমার্স ব্যবসায়ীর প্রতারণা থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এমন প্রচার বললেন একজন।

ক্রেতা প্রতারিত হলে নীতিমালার দোহাই দিয়ে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর চুপ করে বসে থাকার সুযোগ নেই বললেন আইনজীবী। তার মতে, প্রতারণা বন্ধে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বড় ধরনের বিদেশি কোম্পানির যদি প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে তাহলে বিটিআরসি তাদের সাইটগুলো বন্ধ করে দিতে পারে। লটারি জুয়া অবৈধ এটি বন্ধ করা উচিত। এ সকল বিষয়ে সরকারের সকল সেক্টরের কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে এবং এটি তাদের করা উচিত। এখানে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। জনগণ যাতে প্রতারিত না হয় এটি সরকারের প্রশাসনের দেখার দায়িত্ব। এই বিষয় নিয়ে কেন আমাদের মিডিয়াতে বলতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকলে সাধারণ মানুষকে ঠকানোর প্রবণতা বাড়বে বলে মনে করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।

জিএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে ইভ্যালি গ্রাহকদের
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার’
অবৈধভাবে ধান মজুত করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই’
X
Fresh