• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কী ঘটতে যাচ্ছে হাজী সেলিম পুত্র ইরফানের ভাগ্যে?

কাজী ফয়সাল

  ২৬ অক্টোবর ২০২০, ২৩:৪৪
What is going to happen to Haji Selim's son Irfan?
র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত ইরফান সেলিম

সকলের মনেই প্রশ্ন পুরান ঢাকার দাপুটে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে? ইরফান শুধু সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্রই নন, তিনি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর জামাতাও। তার ক্ষমতার দৌঁড় কোথায় গিয়ে থামে সেদিকেও নজর রাখছে মানুষ।

রিমান্ড চাওয়া হবে ইরফান সেলিমের

আরটিভি নিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর লালবাগ থানায় ইরফান সেলিম ও জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে র‌্যাব। আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ইরফানসহ অন্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে র‌্যাব-৩। একই সময়ে থানায় ২টি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে র‌্যাব।

সূত্র জানিয়েছে, থানায় দায়ের করা ফৌজদারি অপরাধে অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় ইরফানসহ তার সহযোগীদের রিমান্ড চেয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

তবে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রাকিবুল হাসান সোমবার রাত ১১ টায় আরটিভি নিউজকে বলেন, এই মুহূর্তে গ্রেপ্তারকৃতদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য উদঘাটন করতে পারলে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ তাদেরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেবো। অন্যথায় দেরিও হতে পারে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আর রাতে অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যেই মামলা রুজু হয়ে যাবে।

দুদক

এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, হাজী সেলিমের পুত্র ইরফানের অবৈধ অর্থের ছড়াছড়ি রয়েছে। এটি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নামতে পারে। তবে এই বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অস্ত্র আইন সংশোধনীর (২০০২) ১৯ক ধারা অনুযায়ী- পিস্তল, রিভলবার, রাইফেল, শটগান বা অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র-সম্পর্কিত অবৈধ হয়, তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা ১০ বছরের কম নয়, এ রূপ মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়াও মাদক আইনের ধারায় মাদকদ্রব্য উদ্ধারের উপর নির্ভর করে শাস্তির বিভিন্ন মেয়াদের বিধান রয়েছে।

কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হচ্ছেন ইরফান সেলিম!

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের উপর হামলার ঘটনায় দাপুটে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান শিগগিরই কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে লিখিত আকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জনপ্রতিনিধি বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেবে। পুরান ঢাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছর সাজা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ আসা মাত্রই কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফানকে বরখাস্ত করা হবে। ইতোমধ্যে অবৈধভাবে মাদক, অস্ত্র এবং ওয়াকিটকি রাখার অপরাধে ইরফানকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনেকেই মনে করছেন, শিগগিরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন ইরফান।র‌্যাবের বিশেষ অভিযানের দিন আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বরখাস্ত সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদের কাছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় ইরফান সেলিমকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ আরটিভি নিউজকে বলেন, ইরফান মোহাম্মদ সেলিম বা যেকোনো কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক দণ্ড প্রদানের ঘটনা ঘটলে সেই বিষয়টি যদি সিটি করপোরেশন কর্তৃক লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে আসে, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ সারাদিন যা ঘটলো

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক মারধর করার ঘটনায় র‌্যাব রাজধানীর চকবাজারের দেবিদাস ঘাট লেনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে দ্বিতীয় ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পৃথক দুই অভিযোগে ১ বছর করে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ২৬, দেবিদাস ঘাট লেনের ‘চাঁন সরদার-দাদা বাড়ি’ তে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।

এর আগে গতকাল রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে ধানমণ্ডির কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে নৌ বাহিনী কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম ও তার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় আজ সোমবার সকালে ওই কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পুত্রকে গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারের ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। দেবিদাস ঘাট লেনের ৯ তলা বিশিষ্ট ওই বাড়ি থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি এয়ারগান, ৫ লিটার বিদেশি মদ, ১০ ক্যান বিয়ার, ৩টি ভিপিএস (ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার) যন্ত্র, ওয়াকিটকির বেজ স্টেশন ও ৩৮টি ওয়াকিটকি, ২টি হ্যান্ডকাফ ও দেহরক্ষী জাহিদের কাছ থেকে ৪শ’ পিস ইয়াবা জব্দ করে। ওই বাড়িতে একটি এবং পাশের বাড়িতে আরও একটিসহ ২টি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। এই টর্চার সেলে এলাকার লোকজনকে আটক করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। হাজী সেলিমের বাসা থেকে একটু দূরেই ২৫, দেবিদাস ঘাট লেনের ইরফানের মালিকানাধীন ৯তলা একটি বাড়ির নিচতলায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়। আজ সন্ধ্যায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শেষে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ওই বাড়ির নিচতলায় প্রেস ব্রিফিং করে র‌্যাব।

র‌্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৩ এর সমন্বয়ে একটি টিম আজ দুপুরে এই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন দিয়ে ইরফান সেলিমের চাঁদাবাজি ও নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইরফান সেলিম ও জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে র‌্যাব।

বাড়িটি ছিল টর্চার সেল

হাজী সেলিমের নির্মাণ করা ২৬, দেবিদাস ঘাট লেনের ৯ তলা বিশিষ্ট চাঁন সরদার-দাদা বাড়িটি ছিল একটি টর্চার সেল। চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে ধরে এনে এই টর্চার সেলে বন্দি করে রাখা হতো। ভবনের ৩ তলায় আধুনিক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিসহ অত্যাধুনিক কন্ট্রোল রুম। এতে রয়েছে আধুনিক ৩টি ভিপিএস (ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার) যন্ত্র, ৩৮টি ওয়াকিটকি, ড্রোনসহ বিভিন্ন ডিভাইস। রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায় নিয়োজিত এলিট বাহিনীর কাছে যেসব সরঞ্জাম থাকে, সেরকম সরঞ্জাম পাওয়া গেছে এখানে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় এই কন্ট্রোল রুম ব্যবহার করা হতো বলে র‌্যাবের ধারণা। এছাড়া এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতেও এই টর্চার সেলে ব্যবহার করা হতো বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

‘কন্ট্রোল রুমের’ বিষয়ে র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, হাজী সেলিমের ৮ তলা ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলা থেকে এসব সরঞ্জামসহ তারা অবৈধ একটি বিদেশি পিস্তল ও একনলা বন্দুক জব্দ করেছেন। কালো ৩৮টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ওয়াকিটকির প্রতিটি ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কাভার করতো। এ ধরনের ওয়াকিটকি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র অনুমোদন ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ। কর্মকর্তারা জানান, ওই বাসায় একটি ড্রোন, রাউটার, একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার বা ভিপিএস পাওয়া গেছে। এই ভিপিএস দিয়ে মূলত তার পুরো নেটওয়ার্কে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতো, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ট্র্যাক করতে না পারে। সাধারণত ভিপিএস ব্যবহারের অনুমোদন পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা। বিটিআরসি এই অনুমোদন দেয়। তবে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম এ ব্যাপারে কোনও অনুমোদন নেননি।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত

গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। নীলক্ষেত থেকে বই কিনে মোটরসাইকেলে করে লেফট্যানেন্ট ওয়াসিফ আহমদ মোহাম্মদপুরে তার বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। ধানমণ্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনের সিগন্যাল ক্রসিং জ্যাম ছিল। এসময় তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে একটি বুলেট প্রুফ জিপ গাড়ি ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ আহমদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে। তারা গাড়ি নিয়ে কলাবাগানের দিকে যায়। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফ আহমদও তাদের পেছনে পেছনে যান। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ তার মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন ৩-৪ জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবিহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো’ এই কথা বলে তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। ওয়াসিফের একটি দাঁত ভেঙে গিয়ে তার মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়ে যায়। তখন ওয়াসিমের স্ত্রী এগিয়ে এলে, ইরফান তাকেও মারধর করেন। এক পর্যায়ে ওয়াসিফ চিৎকার করে বাঁচার আকুতি জানায়। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ ইরফানের কাছে বিষয়টি জানতে চায়। পথচারীরা ওয়াসিফ আহমদকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাথাড়ি মারধর করার দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এ পরিস্থিতিতে খবর পেয়ে ধানমণ্ডি থানার এসআই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করে। ইরফান গাড়ি চালক মিজানকে রেখে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে অপর একটি গাড়িতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

রাত ৯টার দিকে পুলিশ আহত ওয়াসিফকে মর্ডান আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যান। পুলিশ গাড়ি চালককে দিয়ে ইরফানের গাড়িটি থানায় জব্দ করে। রাত ১১টার দিকে ওয়াসিফ এ ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় জিডি করেন। পুলিশ গাড়ি চালক মিজানকে গ্রেপ্তার দেখায়। পরে সোমবার ওয়াসিফ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজন।

এদিকে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত গাড়ি চালক মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায় ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কেএফ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক
বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
রাবিতে দুদকের অভিযান
রিমান্ডে ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তা
X
Fresh