করোনার বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে না, উল্টো কমেছে (ভিডিও)
আসছে শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যেও মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলোতে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে না উল্টো কমেছে।
অথচ হাসপাতালগুলোতে আবারও রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে টিকা ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে গোষ্ঠীগত বা ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন, আইইডিসিআরে’র সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার মোস্তাক হোসেন। কেবল রোগী শনাক্ত করে আলাদা করতে পারলেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
দেশে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও এখনও প্রতিদিন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন হাজারের ওপর মানুষ। তারপরও সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগটি নিয়ে এখন গাঁ-ছাড়া ভাব।
বেশিরভাগ মানুষই এখন মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো মৌলিক বিষয়গুলো মানছেন না। এনিয়ে একেক জনের আছে একেক অজুহাত।
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের তথ্য বলছে গেল ১৫ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর প্রতিদিন তাদের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যদিও হাসপাতালের এই পরিচালক বলছেন, রোগী বাড়লেও ভয়ের কিছু নেই। তাদের সব ধরণের প্রস্তুতিই আছে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রওশন আনোয়ার বলেন, নার্স, স্টাফসহ অন্যান্য কর্মীরা প্রস্তুত আছে। আশা করি কোনও অসুবিধা হবে না। শীতকালীন রোগে আমরা সচেতন থাকলে, কোভিড-১৯ সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
আইইডিসিআরের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন জানান, টিকা ছাড়া সব কিছু ছেড়ে দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করা সম্ভব না।
আরও পড়ুনঃ
অক্সফোর্ড টিকার ট্রায়াল গ্রুপে থাকা স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু
‘দ্বিতীয় ওয়েভ ঠেকাতে সচেতনতা সৃষ্টিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগানো হবে’
করোনায় আক্রান্ত মাশরাফীর দুই সন্তান
তিনি আরও বললেন, রোগী আলাদা করতে পারলে কেবল সংক্রমণ কমানো সম্ভব। আর মানুষ সতর্ক না হলে যেকোনো সময় সংক্রমণ বাড়তে থাকবে।
জিএম/এমকে
মন্তব্য করুন