• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফুটপাতে রাত্রিযাপন রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের (ভিডিও)

এ আর বাদল, আরটিভি নিউজ

  ০৫ অক্টোবর ২০২০, ২৩:২৭

ফাইভস্টার হোটেলের ফুটপাতে স্থান হয়েছে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের। সারাদিন টোকেন আর টিকিটের জন্য দৌড়-ঝাপ করে টাকা না থাকায় অবশেষ বুকভরা কষ্ট নিয়ে ফুটপাতেই ঘুমিয়েছেন এসব স্বপ্নবাজ যোদ্ধারা। গেলো রাতে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের অফিসের পাশে সোনারগাঁও হোটেলের ফুটপাতে দেখা মিলে তাদের। প্রিয়জনের মুখে দু-মুঠো ভাত আর পরিবারের মুখে হাসি আর দেশকে ভালো রাখতে যাদের চেষ্টার শেষ নেই। আর তাদেরই এ অবস্থা! দেখার যেন কেউ নেই!

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির মিজানুর রহমান। শ্রমে ঘাম ঝরাতে ঝরাতেই দেশে এসে বিয়ে করে আবারও ফিরে গেছেন প্রবাসে। নিজের সুখের কথা ভাবেননি। ১৭ বছর ধরে সৌদি থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। কিন্তু দেশে এসে করোনার কারণে আটকা পড়েছেন। কয়েকদিন ধরে ঘুরেও টিকিট বা টোকেন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রবাসী মিজানুর রহমান বলেন, এত হয়রানি হতে হচ্ছে, রাস্তায় ঘুমাতে হচ্ছে, আমরা কি দেশে টাকা পাঠাই নাই। আমাদের টাকা দিয়ে কি দেশের আয় হয় নাই। আমরা কি দেশের সম্পদ না। দেশের জন্য আমরা বিদেশে গিয়ে ১২-১৪ ঘণ্টা লেবার দেই। তাহলে আজ কেন আমাদের এত অবমূল্যায়ন।

শুধু মিজানুর রহমান নয়, কোম্পানীগঞ্জের নুর হোসেনসহ অনেকেই তাদের প্রবাস ফেরা নিয়ে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা আর উদাসীনতাকে দায়ী করেন। তারা বলেন, যাদের টাকায় দেশের অর্থনীতি সচল তারাই অবহেলার শিকার এটা সবার জন্যই অসম্মানের।

প্রবাসী নুর হোসেন বলেন, আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা, আমাদের পাঠানোর কোনও ব্যবস্থা করছে না সরকার। বাড়িতে বাবা-মা অসুস্থ, টাকা যা ছিল প্রায় সব শেষ। এখানে কেউ ৮ দিন, কেউবা আছে ১৫ দিন ধরে। কিন্তু সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সৌদিগামী ফ্লাইটের টিকিট না পেয়ে ময়লার দুর্গন্ধ আর মশার কামড়ে ফুটপাতে ঘুমিয়েও নিজের কষ্টের কথা না ভেবে নিজের পরিবার আর দেশের কথাই ভাবছেন এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

আরেকজন প্রবাসী জানান, আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা, বিদেশ থেকে টাকা পাঠাই আরও ভালোভাবে চলার জন্য। কিন্তু দেখেন এখন আমাদের ফাইভ স্টার হোটেলের সামনে ফুটপাতে ঘুমাতে হচ্ছে। এই হলো আমাদের অবস্থা। আমরা কী অপরাধ করেছি। আমাদের টাকায় দেশ আরও ভালোভাবে চলতে পারছে। কিন্তু আমাদের কোনও দামই দিচ্ছে না।

সবাই কাজে যোগ দিতে পারবেন এবং সরকার এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কষ্ট লাঘবে দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এমন দাবী এসব স্বপ্নবাজ প্রবাসীদের।

এস/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh