• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নদী ভাঙনে তাদেরকে হারাতে হয় সর্বস্ব (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল, আরটিভি নিউজ

  ০২ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৫২
River erosion,
নদী ভাঙন।

নদীমাতৃক বাংলাদেশ ভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় তীরবর্তী লাখো মানুষকে। যদিও নদীর আগ্রাসী আচরণ রোধ করতে চাইলে নদীর স্বভাব বুঝে শাসন করলে ভাঙন ঠেকানোর পাশাপাশি ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন নদী বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত। আর পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, নদী ভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার। অতীতের চেয়ে ভাঙন অনেক কমেছে বলেও দাবি তার।

মাছে ভাতে বাঙালির মাছের বড় একটি চাহিদা পূরণ করে মিঠা পানির মাছ। নদীতে মাছ শিকার করে জীবন চলে দেশের ১৪ লাখের বেশি পরিবারের।

নদী পথে পণ্য সরবরাহে স্থল পথের চেয়ে খরচ অনেক কম। ফলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী তীরে গড়ে উঠেছে বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান।

নদীর সাথে মিতালি করে যুগ যুগ টিকে থাকলেও নদীর বৈরিতায় কখনো কখনো খোয়াতে হয় নদী তীরের বাসিন্দাদের শেষ অবলম্বনটুকু।

এই নদী কারো কারো জীবিকার ব্যবস্থা করে দিলেও নদী ভাঙনে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে অনেকে হয়েছেন নিঃস্ব সর্বস্বান্ত । সরকার কার্যকারী ব্যবস্থা নিবে এমনটা প্রত্যাশা ভাঙন কবলিত জনপথের বাসিন্দাদের।

নদী উপকূলে ভাঙন ঠেকিয়ে বসতি স্থায়ী করতে চাইলে নদীর প্রবাহ ঠিক রেখে নদী শাসনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন ড. আইনুন নিশাত।

নদীর পার রক্ষা করা হয় কিংবা প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অনেক সময় নদীটাকে ঠেলে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে অন্য জায়গাতে। বাংলাদেশে রক্ষা ব্যবস্থাটি খুব খারাপ। পানি উন্নয়ন বোর্ড যে কাজ করে সেখানে নদী রক্ষা ব্যবস্থা নাই বললেই চলে। যারা নদী ভাঙন ব্যবস্থা কাজে দায়ী তারা যদি প্রফেশনাল হতো তাহলে নদী ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হতো।

শান্ত নদী নিরাপদ হলেও বিভিন্ন কারণে নদী হিংস্র হয়ে ওঠে বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস। নদীর সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা জনগোষ্ঠীকে রক্ষা এবং ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে তাদের পূর্বাভাস বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক।

নদীকে নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হলেও সে কাজটি দক্ষতার সাথে করার চেষ্টা সরকার অব্যাহত রেখেছে বলে জানান পানিসম্পদ উপমন্ত্রী।

তিনি আর বলেন। প্রকল্পগুলো যাতে ভালো হয়, দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কোনো অবহেলা যাতে না হয় সেই জন্য আমরা একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করেছি।

শরিয়তপুর, মাদারিপুর, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, ঢাকার দোহার, রাজশাহী-সহ ভাঙন কবলিত এলাকায় সিমেন্টের ব্লক, বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান পানি উপমন্ত্রী।

জিএম/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৫ এপ্রিল)
খেলাপি ঋণ ও ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
রোববার যেসব এলাকায় ব্যাংক বন্ধ থাকবে 
X
Fresh