• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল, আরটিভি নিউজ

  ০১ অক্টোবর ২০২০, ১০:৪০
The government is undertaking a permanent project to prevent river erosion
ফাইল ছবি

এ বছর বন্যার আর্থিক ক্ষতি প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। দেশে নদী ভাঙনে প্রতিবছর গড়ে দেড় লাখ মানুষ গৃহহীন হন। ক্ষতিগ্রস্ত হন কম বেশি দশ লাখ মানুষ। নদী বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন সঠিক পরিকল্পনার অভাবে নদী ভাঙন কমানো যাচ্ছে না। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জানান, সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার।

নদী ভাঙনের ভয়াবহতা যে কতটা নির্মম হতে পারে তা না দেখলে বুঝা যায় না। মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের একটি উচ্চবিদ্যালয়ের বহুতল ভবনটি চোখের সামনেই পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। চলতি বছর প্রথম নয় মাসে কেবল শরিয়তপুরের নড়িয়ায় সারে ৪শ’ ছোট বড় স্থাপনা নদীর গর্ভে হারিয়ে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের হিসেবে প্রতি বছর চার দফায় বন্যায় সারাদেশে ৩৩৪ উপজেলায় ৬৬ শতাংশ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে ৫৪ ইউনিয়নের ২ থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বাধ ভেঙে গেছে, নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েক একর জমি। চোখের পলকে জমি ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, ব্লক যদি না দেয়া হয় বালু দিয়ে কিছুই হবে না। এই এলাকার দুই পাড়ে কিছু থাকবে না। আমাদের গ্রামটা রক্ষা করলে আমরা বেঁচে যেতাম। অনেক স্কুল, মাদরাসা, হাট বাজার, সবই নদী গর্ভে চলে গেছে।

প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেও কেন ভাঙন ঠেকানো যায় না সেই প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। ভাঙন ঠেকাতে সরকারের নানা পদক্ষেপের পরেও নদীর আগ্রাসী ভূমিকার কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না নদীর ভাঙন। যার ফলে দিনে দিনে বাড়ছে রাষ্ট্রের ক্ষতি, রাষ্ট্রের এই ক্ষতি কমাতে বা নদী ভাঙন ঠেকাতে সরকারকে কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি সঠিক কর্মপন্থা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।

ড. আইনুন নিশাত বলেন, নদী চলবে তার নিজস্ব গতিতে, তবে মানুষের ক্ষতি করে, এমন নদীর গতি পথ পালটে দেয়া এবং শাসন করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া বেশ ব্যয় বহুল বলে সরকার এই পথ এড়িয়ে চলে।

নদী শাসনকে বেশ কঠিন কাজ বলে স্বীকার করেন পানি উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। তিনি জানান, সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে নদী ভাঙন রোদে স্থায়ী সমাধান খুঁজছে সরকার।

তিনি বলেন, আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নেয়ায় এবার তিনবার বন্যা হওয়ার পরেও ক্ষতি তেমন হয়নি।

জিএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh