মালেক যাদের গাড়ি চালিয়েছেন তাদের নজরদারির দরকার নেই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র (ভিডিও)
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক শাহ মনির হোসেন এবং এ এফ এম এনায়েত হোসেনের ড্রাইভার থাকার সময় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন স্বাস্থ্যের আব্দুল মালেক। এই মনির ও এনায়েতের বিরুদ্ধেই নাকি নজরদারির দরকার নেই। এমনটিই জানালেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডাক্তার হাবিবুর রহমান। দুদক থেকে অভিযুক্ত কারও নামের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পায়নি বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, মালেককে গ্রেপ্তার করলেও এখনো তদন্তের দায়িত্ব পায়নি র্যাব।
শাহ মনির হোসেন এবং বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এফ এম এনায়েত হোসেনের গাড়ির চালক ছিলেন শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া ড্রাইভার আব্দুল মালেক ওরফে হাজি বাদল। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে এমন তথ্য।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও এমআইএস ডিরেক্টর ডাক্তার হাবিবুর রহমান বলেন, দুইজনই মহা পরিচালক একজন এরই মধ্যে অবসরে গেছেন। আর একজন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। দুর্নীতিতে যাদের নাম আসছে তাদের বিষয়ে কিছুই জানতো না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রফেসর এ এফ এম এনায়েত হোসেনকে নজরদারিতে রাখা আমাদের সাজে না। আর তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তার ড্রাইভার যে কেউই থাকতে পারে। এখন ড্রাইভার কেউ থাকলে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, যিনি গাড়িটি ব্যবহার করেন তিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন তা কিন্তু নয়।
আব্দুল মালেক এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শাহ মনির হোসেন।
এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি প্রফেসর এ এফ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে বার বার ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, আবেদন করলেও ড্রাইভার আব্দুল মালেককে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব এখনো র্যাবের কাছে আসেনি। র্যাবের পরিচালক আইন ও গণমাধ্যম শাখা আশিক বিল্লাহ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পেলে র্যাব পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘাপটি মেরে থাকা মালেকের মতো দুর্নীতিবাজরা সামনে আসবে এবং বিচার হবে এমনটা প্রত্যাশা সবার।
এসএ/এসএস
মন্তব্য করুন