• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

করোনাকালে অনলাইন ব্যবসার প্রসার, বাড়ছে ক্রেতা (ভিডিও)

আতিকা রহমান, আরটিভি নিউজ

  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৪৯
Exit online exams at Coronacle, house building
করোনাকালে বাড়ছে অনলাইন ব্যবসা

করোনা মহামারিতে সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রসার ঘটেছে অনলাইন ব্যবসার। স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ক্রেতারা দোকানে কেনাকাটার পরিবর্তে অনলাইনে কেনাকাটাকেই নিরাপদ মনে করছেন। এর ফলে অনলাইনে অর্ডার বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। আর নতুন উদ্যোক্তা যোগ হয়েছে প্রায় চার লাখ।

দেশে মার্চ মাসে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে সারাবিশ্বের মতো মুখ থুবড়ে পরে দেশের অর্থনীতিও। বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি হারিয়ে বা বেতন বন্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন কোটি খানেক মানুষ। অথচ ঠিক উল্টোচিত্র অনলাইন ব্যবসায়।

মার্চে যখন একে এক সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে থাকে, তখনই প্রসার ঘটে অনলাইন কেনাকাটার। এ যেন শাপে বর! ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দোকানে যাওয়ার পরিবর্তে অনলাইন কেনাকাটায় ঝুঁকে পরে ভোক্তাদের একটি বড় অংশ।

ভোক্তারা বলেন, করোনা ও লকডাউনের সময় যদি অনলাইন শপের ব্যবস্থা না থাকত, জানি না কি হতো। জীবন অনেক কঠিন। তবে কঠিনের মধ্যেও অনলাইন শপ জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই অনলাইনে কেনা যায়। এমনকি গেল কোরবানি ঈদের গরুও কেনা হয়েছে অনলাইনে। অফিসে থেকেও যেকোনও কিছু খুব সহজে অর্ডার দেয়া যাচ্ছে।

অনলাইন ব্যবসার প্রসার ঘটায় অনেকে এসময় ব্যবসা শুরু করেন। তাদেরই একজন জীনাত আরা তন্বী। ঘরে তৈরি বিরিয়ানি, কাবাব আর নানা রকম দেশি খাবার নিয়ে শুরু করেন তন্বী’স কিচেন। ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে এখন সফল উদ্যোক্তা তিনি।

তিনি বলেন, তিন মাসেরও কম সময়ে আমি আরও তিনজনকে কাজ করার মতো সুযোগ করে দিতে পেরেছি।

দেলোয়ার হোসাইন নিজ জেলা শেরপুরকে তুলে ধরতে চান বিশ্ববাসীর কাছে। আওয়ার শেরপুর নামে পেজ চালু করে জেলা ব্রান্ডি এর পাশাপাশি শেরপুরের বিখ্যাত তুলসীমালা চাল ও মন্ডা বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, প্রতি মাসে এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়। ছেলেবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল মানুষের কর্মসংস্থান করব। কিন্তু চাকরিতে সেটা সম্ভব হতো না।

অনলাইনে রুটি পরোটা সরবরাহ করে সফল হওয়া দুলালী বেগম বলেন, করোনার সময় আমি অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি। প্রতিদিন আমি ৬০ থেকে ৭০টা রুটি পরোটার অর্ডার পেয়েছি।

তাঁতের শাড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী শারমিন ইসলাম বলেন, আমি সব সময় দেশীয় শাড়িতে নিজস্ব ডিজাইনে কাজ করতে চাইতাম। সেটা অনলাইনের কারণে সম্ভব হয়েছে।

আর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করে সফল উদ্যোক্তা ঢাকাইয়া পাকঘরের নূরজাহান সাদিয়া বলেন, আমার সাইনিং ডিস হচ্ছে চিকেন বিরিয়ানি ও চিকেন টোস্ট। আমার পরিবারকে আমি যে খাবারটা খাওয়াব ঠিক একই খাবার আমি আমার গ্রাহকদের খাওয়াব।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশানের যুগ্ম-সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা জানান, করোনাকালে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায় বিপ্লব ঘটেছে। করোনাকালে যে এই সময়টাকে কাজে লাগিয়েছে সে কিন্তু শূন্য থেকে লাখপতি হয়েছে।

ই-কমার্সকে যুগোপযোগী ও টেকসই করতে ব্যাংক ঋণ ও সরকারি সহায়তা চান উদ্যোক্তারা।
এসএ/পি


মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh