মিরপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ: দায়ী স্থানীয় প্রভাবশালীরা! (ভিডিও)
বিশাল এলাকা জুড়ে প্রতিটি অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীরাই নিয়েছে ১২ হাজার টাকা করে। রাজধানীর মিরপুরে বাঁশপট্টির অবৈধ গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে ঘটেছে এ লেনদেন। স্থানীয় নেতা মান্নান শেখ ও তিতাসের কর্মকর্তা নাসিরের নামে অভিযোগ পাওয়া গেলেও তারা তা অস্বীকার করেছেন।
মিরপুরে গ্যাস সংযোগের অবস্থা দেখে মনে হবে, অভিভাবকহীন গ্যাসের এ অনিয়ম-দুর্নীতি দেখার যেন কেউ নেই। যে যেমন পেরেছে তিতাস গ্যাসের চোরাই লাইন টেনে নিয়েছে ঘরে। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন অবৈধ গ্যাস সংযোগ সিন্ডিকেট।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, চারশ’র বেশি পরিবারের বসবাস বাঁশপট্টিতে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে গ্যাসের লাইনের জন্য ১২ হাজার টাকা এবং পানির লাইনের জন্য ১২ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু সে টাকা কোথায় গেল, কিভাবে রাখা হলো এটা কেউ জানে না।
তারা আরও বলেন, যারা নির্বাচনী প্রতিনিধি থাকে তাদের কিছু লোক থাকে, এভাবে তারা তাদের লোক দিয়ে টাকা নিয়ে থাকে। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন অবৈধ গ্যাস সংযোগ সিন্ডিকেট। তিতাস গ্যাসের অসাধু কর্মকর্তাদেরও যোগসাজসের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত ঢাকা উত্তর ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল মান্নান জানান, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আমার কাছে কিংবা আমার নেতাকর্মীদের কাছে যদি একটা টাকাও আসে, যে বিচার হবে সেই বিচার মেনে নিবো। তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে তিনি কোনও টাকা নেননি বলেও জানান।
মিরপুর তিতাস গ্যাসের হিসাব বিভাগের সহ-ব্যবস্থাপক সৈয়দ নাসির জানান, বাইরে থেকে পাইপ, রেগুলেটর কিনে সরাসরি লাইন টেনে দেয় এবং যারা প্রভাবশালী আছে তারাই এই কাজগুলো করে। আমি ওইসব প্রভাবশালীদের নাম বলতে চাই না। বললে সমস্যা। বিভিন্ন বস্তিতে অবৈধভাবে গ্যাস সাপ্লাই দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। স্থানীয় প্রভাবশালীরাই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার সঙ্গে জড়িত। সেই সঙ্গে কোথায় কোথায় অবৈধ সংযোগ আছে, সে তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল-আমিন।
এনএম/পি
মন্তব্য করুন