• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

এবার পাটের দাম ভালো, কিন্তু ফলন কম (ভিডিও)

  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৪০
Now the price of jute is good, but the yield is low
পাটের বাজার

দেশের মোট পাট চাষের একটি বড় অংশ চাষ হয় গোপালগঞ্জে। তবে পাট চাষে এবার কাঙ্ক্ষিত ফলন পায়নি গোপালগঞ্জের কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতেই ঘন ঘন বৃষ্টি, বীজতলায় পানি আটকে থাকা ও দুই দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পাট চাষে। ফলে অনেকেই পাট চাষে আগ্রহ হারাতে পারেন এমনটিই মনে করছেন তারা। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এ বছর পাটের ফলন ভাল হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলাতেই এবারও ব্যাপক হারে পাটের আবাদ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে পাঁচ উপজেলায় মোট ২৪ হাজার আটশ ৮৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় তিন হাজার হেক্টর বেশি।

তবে কৃষকরা বলেন ভিন্ন কথা, উঁচু এলাকার কিছু পাট চাষ ভালো হলেও নিচু জায়গাতে পাট চাষের অবস্থা খুব খারাপ। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টি আর সময়মত আগাছা পরিষ্কার করতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত ফলন পাননি তারা। আগে প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হত ১৫ থেকে ১৮ মণ কিন্তু এবার হবে, প্রতি বিঘায় চার থেকে পাঁচ মণ।

এছাড়া বন্যার পানি পাট গাছের গোঁড়ায় জমে যাওয়ায় পাট পোক্ত বা আঁশ মোটা ও লম্বা হওয়ার আগেই কাটতে হয়েছে এবং খরচও হয়েছে বেশি। প্রতি বিঘায় পাটে ঘাটতি হয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মণ।

কৃষকরা বলেন, পাটের দাম পাওয়া যাচ্ছে ভালো কিন্তু এবার পাটের ফলন কম হয়েছে। অন্য দিকে পানি হওয়ার কারণে আমাদের পাট জাগ দিতে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি।

গোপালগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, যদি ২০ মণ পাট এর জায়গাতে ১৫ মণও পাই তাও ধান ও অন্য চাষের চেয়ে ভাল। এ বছর পাটের ফলন ভাল হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি পাওয়ায় প্রকৃত সোনালী আঁশের যে রঙ, সেই রঙ নিয়েই কৃষকদের ঘরে উঠবে আঁশ।

সব মিলিয়ে বিক্রি করতে পারলেও ফলন কম হওয়ায় শেষ পর্যন্ত লোকসানই গুনতে হবে এমনটাই আশঙ্কা করেছেন কৃষকেরা।

এসএ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হাবিপ্রবি শিক্ষকের আবেদনে দিনাজপুরে হচ্ছে লিচু চত্বর
X
Fresh