• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অভিযোগ দিতে দিতে গ্রাহক ক্লান্ত হয়ে পড়লেও সাড়া মেলে না তিতাসের (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল, আরটিভি নিউজ

  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৫২
Titash, Mohakhali,
তিতাসের লাইন খোঁড়াখুঁড়ি

রাজধানী জুড়েই তিতাস গ্যাসের লাইনে অসংখ্য লিকেজ। কয়েকদিন পর পরই দুর্ঘটনা ঘটলেও পরিদর্শন ছাড়া কাজের কাজ হয় না তেমন কিছুই। অভিযোগ দিতে দিতে ক্লান্ত ভুক্তভোগীরাও এক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের মতো ঘটতে পারে আরও দুর্ঘটনা। যদিও তিতাস কর্তৃপক্ষের অজুহাত অন্যান্য নানা প্রতিষ্ঠানের অহেতুক রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে তাদের ভালো লাইন নষ্ট হয়ে যায়।

ঘুষ ছাড়া মেলে না সমাধান। গ্যাসের লাইনে এমন ত্রুটি শহর জুড়েই। লিকেজ দিয়ে বুদবুদ বের হওয়ার চিত্রও নিত্যদিনের। অভিযোগ দিয়েও পাত্তা পাননি এলাকাবাসী। শেষ পর্যন্ত যার মূল্য দিতে হলো তাদেরই।

তবে নারায়ণগঞ্জের এই দুর্ঘটনার দায় নিতে নারাজ তিতাস। প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ওয়াহাব বলছেন, তারা লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি।

কেবল নারায়ণগঞ্জই নয়, ঢাকা শহরের অনেক এলাকাই এমন গ্যাস চেম্বার হয়ে আছে। মহাখালীর প্রধান সড়কে কয়েকদিন পর পর এমন বিস্ফোরণ এখন আর স্থানীয়দের অবাক করে না! বিষয়টি নিয়ে অনেকবারই তিতাসে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসীর আগ্রহও কমে গেছে।

নগরবাসীরা বলেন, তিতাসে চারবার অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিতাসের জিএম এসে দেখে গেছে ছয় মাস হলো এখনো কোনো কাজ হয়নি। প্রায়ই বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন জলে উঠে। সবার মনে একটা আতঙ্ক সব সময়ই থাকে, কখন কী হয়।

নগরীর আরেক ব্যস্ত ও অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার যাতায়াত এই পথে। অথচ প্রধান সড়কে গ্যাসের লাইন লিক হয়ে আছে অনেকদিন ধরে। সম্প্রতি গ্যাস থেকে লাগা আগুনে তিনজনের শরীরও পুড়েছে। একজন কাজে ফিরতে পারলেও বাকী দুইজন এখনো চিকিৎসাধীন।

এলাকাবাসী বলেন, তারা আসেন, বসে থাকেন কিংবা মাঝে মাঝে অল্প একটু খোঁড়াখুঁড়ি করে তারপরে চলে যায়।

গ্যাস লাইনের লিকেজ সারাতে অন্তত চারবার লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি তিতাস। তিতাসের (পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ওয়াহাব তালুকদার বলেন, নির্দিষ্ট একটা জায়গাতে লিকেজ আছে সেটা আমরা চিহ্নিত করতে পারছি না বিধায় আমরা সেখানে সাড়ে পাঁচশ ফিটের একটা সেকশনই পরিবর্তন করে দিচ্ছি। যাতে এই লাইনের সমস্যাটা না থাকে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরেই লিস্ট করেছি, অনুমতি নিয়েছি, বাজেট নিয়েছি, টেন্ডারে গেছি, এখন আমরা কাজে যাচ্ছি।

অভিযোগ পেলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে মুখে বললেও ধানমন্ডির ঘটনাটি সামনে আনার পর দাঁড় করালেন পুরোনো অজুহাত।

আবদুল ওয়াহাব তালুকদার বলেন, গ্যাস থেকে আসছে, নাকি বিদ্যুৎ থেকে আসছে, নাকি গ্যাস ভেতরে ঢুকছে, নাকি বিস্ফোরণের আগে লিকেজ ছিল, বা বিস্ফোরণের পরে আমাদের লাইন দুর্বল হয়ে আমাদের গ্যাস ওখানে ঢুকছে কিনা এগুলো আমরা তদন্ত না করে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দিতে পারব না।

লাইনে লিকেজ অবৈধ সংযোগসহ নানা অব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর তিতাসের ক্ষতি হয় প্রায় ৭৭০ কোটি টাকা।

এসএ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh