• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোররা হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর (ভিডিও)

আপেল শাহরিয়ার, আরটিভি নিউজ

  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:১৩
Adolescents between the ages of 14 and 18 are becoming terrified
ছবিঃ সংগ্রহীত

ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে দেশজুড়ে নগরকেন্দ্রিক কিশোর গ্যাং কালচার। চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা এমনকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা অন্য গ্রুপের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় জড়াচ্ছে খুন-খারাবির মতো ঘটনায়। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই কিশোরদের একটি অংশ গ্যাং কালচারে জড়িয়ে নানা অপকর্ম করছে। যাদের বেশির ভাগের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর।

গাজীপুর সিটির টঙ্গী পুকুরপাড় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়িয়েছে কিশোর গ্যাং এর দুই গ্রুপ। টঙ্গীতে পাড়ায় পাড়ায় গড়ে ওঠা দশ থেকে পনের জনের উঠতি বয়সীদের গ্রুপগুলো ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরা এতটাই উগ্র যে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন করতেও দ্বিধা করে না। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরখানে কিশোর গ্যাং এর হাতে খুন হয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগ। অটোরিকশা চালককে মারধরের প্রতিবাদ করায় খুন হতে হয় তাকে।

উত্তর খান স্টাইল ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানার সামনের সিসিটিভির দৃশ্যে দেখা যায়, অটোরিকশা থেকে কাদা ছিটকে কয়েকজন তরুণের গায়ে লাগে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতি বয়সী হৃদয় রাজসহ ছয়জন অটোরিকশা চালককে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করায় ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় সোহাগকে। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পরে অভিযুক্তদের পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। পরে গুরুতর আহত সোহাগকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সোহাগের ভাই মোহাম্মদ সাগর জানান, আমার ভাই কোনও ধরনের ঝামেলা পছন্দ করতো না। সব সময় পড়াশুনা করতো ও বাসায় থাকত। লকডাউন থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি।

খোদ রাজধানীতেই উচ্ছৃঙ্খল তরুণদের শতাধিক গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যারা চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত।

এ ব্যাপারে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, উচ্ছৃঙ্খল তরুণরা অপকর্মে ফল কাটার ছুরি অথবা সুইচ গিয়ার ছুরি ব্যবহার করে। এলাকার বড় ভাইদের ছায়ায় থেকে তরুণরা এই সব অপকর্ম করে থাকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আরও জানান, কেবল আইনি ব্যবস্থায় তরুণদের উচ্ছৃঙ্খল জীবন থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সুস্থধারায় বেড়ে ওঠার পরিবেশ। যেখানে সমাজ ও পরিবারের বড় ভূমিকা রয়েছে।

এনএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হাসপাতালে ভর্তি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড তেভেজ
হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ
লক্ষ্মীপুরে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
কালিয়াকৈরে তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে
X
Fresh