অধিকাংশ অভিভাবকই মনে করেন অনলাইন ক্লাস অনুপোযোগী (ভিডিও)
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়িতেই চলছে পড়াশোনা। কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাওয়ার চেয়ে অনলাইন ক্লাসকেই নিরাপদ মনে করছেন কেউ কেউ। তবে বেশিরভাগ অভিভাবক অনলাইন ক্লাস নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা জানান। শিক্ষাবিদরা বলছেন, স্কুল খোলার পর অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে এই ক্ষতি ও বৈষম্য দূর করতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে মধ্য মার্চ থেকেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সাড়ে পাঁচ মাস শ্রেণিকক্ষে পাঠ দান না হওয়ায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা। বাড়িতে সন্তানের পড়াশোনার প্রধান দায়িত্ব এখন অভিভাবদের।
শিক্ষাক্রম অব্যাহত রাখতে টেলিভিশনে ক্লাস প্রচার করেছে সরকার। কিছু স্কুল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে নগরকেন্দ্রীক কিছু প্রতিষ্ঠান।
তবে অনলাইন ক্লাসে সবার প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকাসহ বেশ কিছু সমস্যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারপরও সংক্রমণের ঝুকি এড়াতে অনলাইন ক্লাসকেই সমাধান মনে করছেন কিছু অভিভাবক। দেশের বড় অংশের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। ফলে বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদানের সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী।
ছোট শিক্ষার্থীরা বলছে এই করোনার সময় বাসায় খেলি, টিভি দেখি, পড়ি। অনলাইনে ক্লাস করতে ভালো লাগে। অনলাইনে টিচারকে দেখি, বন্ধুদের দেখি। তবে করোনার জন্য স্কুলে যেতে পারছি না তাই মন খারাপ। বাসায় আমি আমার মা বাবার সহযোগিতায় পড়ালেখা করছি। অনলাইনে ক্লাস করতে কিছু সমস্যা হয়। পড়া না বুঝলে টিচারকে বুঝাতে পারি না বা তেমন প্রশ্নের সুযোগ নেই।
অভিভাবকরা বলেন, অনলাইন ক্লাস বাচ্চাদের জন্য অনুপযোগী বলে করি। অনেকে আবার বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমারই তো বের হচ্ছি না, আর বাচ্চেদের বের করার তো প্রশ্নই উঠে না। আর তাই অনলাইন ক্লাসে বাচ্চারা একটু হলেও পড়ালেখা ও ক্লাসের মধ্যে ব্যস্ত আছে। ওরা পড়ছে, টিচারদের দেখছে, বন্ধুদের দেখছে।
সাবেক তত্ববধায়ক সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অনলাইন শিক্ষায় নগরকেন্দ্রীক কিছু শিক্ষার্থী উপকৃত হলেও বেশিরভাগই সুবিধার বাইরে থাকছে। এতে শিক্ষায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।
শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত ক্লাস ছাড়া বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া উচিত হবে না। সেক্ষেত্রে শিক্ষাবর্ষ সম্প্রসারণের পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।
এসএ/ এমকে
মন্তব্য করুন