• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘পুলিশের বর্তমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে’ (ভিডিও)

জুবায়ের সানি, আরটিভি নিউজ

  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:১৭
'There is something wrong with the current police investigation'
ফাইল ছবি

বিচারহীনতার কারণেই পুলিশ সদস্যদের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অপরাধ বিশেষজ্ঞ জিয়া রহমান বলেন, রিমান্ডে নির্যাতন করে অর্থ আদায় পুরোনো কৌশল। শৃঙ্খলা ফেরাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ দেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক। আর রিমান্ডের অপব্যবহার বন্ধে তদন্ত সংস্থাকে আলাদা করে বিচার বিভাগের অধীনে আনার পরামর্শ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের।

কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন নারায়ণগঞ্জের তিন ব্যক্তি। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে যখন মামলার কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ওই কিশোরী থানায় হাজির হলে বেরিয়ে আসে অপ্রিয় সত্য।

স্বজনদের অভিযোগ, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করে কিছু পুলিশ সদস্য। এজন্য পরিবারগুলোর কাছ থেকে টাকাও নেয়া হয়।

স্বজনরা বলেন, পুলিশ বলছে রিমান্ড থেকে বাঁচাতে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমরা গরীব মানুষ কোথায় পাব এতো টাকা; এ কথা বলার পর পুলিশ বলে, কোথা থেকে আনবেন তা আমি জানি না।

বিচারহীনতার কারণেই রিমান্ডের নামে এমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পায় অসাধু সদস্যরা, বলেন অপরাধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশের মতো অনেক দেশই এখনও আধুনিক হতে পারেনি। অনেক কারণেই পুলিশ এখনও সেকেলে রয়ে গেছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার রুখতে, পুলিশের আধুনিকায়ন, আইন সংস্কার ও অপরাধী সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিতের তাগিদ দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে তদন্ত করা হয়, এই তদন্ত প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয় এবং এই তদন্তের প্রক্রিয়াটির ভেতরে অনেক গলদ হয়েছে। তদন্ত সংস্থা পুলিশের উপর ন্যস্ত না থেকে এটি আমাদের সুপ্রিম কোর্ট এর অধীনে ন্যস্ত করা হোক। তাহলেই প্রকৃত তদন্ত হবে এবং সত্য বেরিয়ে আসবে।

আইনের রক্ষক ভক্ষকের ভূমিকা নিলে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে। এমন শঙ্কা জানিয়ে সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, প্রত্যেকটি অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের যারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আছেন তাদের তদারকি বাড়িয়ে দিতে হবে; যাতে যারা মামলার তদন্ত কাজ নিয়ে কোনো উল্টা-পাল্টা করতে না পারে।

মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কঠোর নজরদারীর মধ্যে আনার পরামর্শ সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের।

এসএ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডিবি কার্যালয়ে এসেও কাণ্ড ঘটিয়েছেন মাতাল নারীরা
ফেসবুকে লাইভের জেরে চাকরি গেল এসপির
যে কারণে বারের সামনে নারীদের চুলোচুলি
বারের সামনে চুলোচুলি, ভাইরাল সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
X
Fresh