• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিহত নূর মোহাম্মদের বাড়িটি ছিল সাবেক ওসি প্রদীপের জলসাঘর (ভিডিও)

টেকনাফ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৫ আগস্ট ২০২০, ১৪:৪১
Jalsaghar of OC Pradeep Kumar Das.
ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জলসাঘর।

টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত নূর মোহাম্মদের বাড়িটি ক’দিন আগেও ছিল ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জলসাঘর। মাদকের আসর সহ অনৈতিক নানা কাজের কেন্দ্র ছিল বাড়িটি। ঐ বাড়িতে বসেই ওসি প্রদীপ মামলা নিতেন। নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে নির্যাতন, টাকার নেয়ার কাজও করতেন এ বাড়িতে বসেই।

টেকনাফ ইউনিয়নের নাজিরপাড়া গ্রাম। প্রায় দেড় বছর আগে এই গ্রামের নূর মোহাম্মদ পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এর কিছুদিন পর নূর মোহাম্মদের পরিবারের সদস্যদের বের করে দিয়ে বাড়িটি দখলে নেয় পুলিশ। নানা আসবাব এনে সেখানেই গড়ে তোলা হয় জলসাঘর ও বিকল্প থানা। বাড়ির দোতলার উত্তরের কক্ষটিকে বানানো হয় টর্চার সেল।

এলাকাবাসী বলেন, অনেক আসামিকে এই বাড়িতে এনে রাখা হত। আসামীদেরকে মারতেও দেখেছি অনেক বার।

বাড়িটির নিচ তলায় একটি কক্ষে পাওয়া যায় মামলার অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। দোতলায় গিয়ে দেখা মেলে মদের বোতল, ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম, পুলিশ সদস্যদের জুতা, আর্মড পুলিশের পোশাকসহ পুলিশ সদস্যদের থাকার নানা আলামত। বাড়িটিতে সিলিন্ডার গ্যাস পৌঁছে দেয়া টমটম চালক মহিউদ্দিনের কাছ থেকেও পাওয়া যায় অনেক তথ্য।

নিহত নূর মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম জানান, তার স্বামীকে ক্রসফায়ারে দেয়ার পর সবাইকে বের করে দিয়ে বাড়িটির দখল নেয় পুলিশ।

এই ভাড়িতে থাকতেন ওসি প্রদীপের ঘনিষ্ঠ পুলিশ সদস্যরা। বিগত দেড় বছরে বাড়িটি স্থানীয়দের কাছে বিকল্প থানা হিসেবেই পরিচিত ছিল।

নুরুল ইসলাম (নিহত নূর মোহাম্মদের ছোট ভাই) বলেন, আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বলেন, এই বাড়ি আজ থেকে আমার। ওই তারিখ থেকে সিনহাকে মারার আগ পর্যন্ত তারা এই বাড়িতে থাকতেন। যারা তাকে টাকা দিতে পারত না, তাদের কে এখান থেকে নিয়ে যেয়ে মেরে ফেলা হত।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি কোন পুলিশ কর্মকর্তা। তবে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা হত্যা ঘটনার পর ২রা আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় থানার পুলিশ সদস্যরা বাড়িটি ছেড়ে চলে যান। সঙ্গে করে নিয়ে যান বাড়ির ভেতরের আসবাবপত্র।

এসএ/জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh