করোনায় পার্ক বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে লোকসান গুনতে হচ্ছে কোটি টাকা (ভিডিও)
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় মন্দায় পড়েছে দেশের বিনোদন কেন্দ্র ও পার্কগুলো। একই অবস্থা রাজধানীর আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোর। টানা বন্ধ থাকায় মালিক পক্ষকে প্রতিমাসেই গুনতে হচ্ছে লোকসান এর পাশাপাশি বিকল হতে বসেছে পার্কের রাইড গুলোর যন্ত্রাংশ। চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ঈদ-পূজাসহ বছরের বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে পরিবার প্রিয়জন নিয়ে আনন্দে সময় কাটাতে অনেকেই ঘুরতে যেতেন আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমে। ছুটির দিনগুলোতে যেখানে পুরো পার্ক জুড়ে থাকতো বিনোদন প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় সেখানে করোনার দাপটে টানা পাঁচ মাস ধরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে পার্কটি।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মার্চ থেকে পার্কের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পরেছে এখানকার বিভিন্ন রাইস। এতে চার মাস ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিক পক্ষকে। চাকরি হারানো শঙ্কায় পড়েছে পার্কের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মালিক পক্ষ ও কর্মচারীরা জানান, এই ভাবে যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে তা হলে আমাদের চাকরির অশ্চিয়তায় পড়তে হবে এবং কোটি কোটি টাকার রাইট গুলো নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার যেন খুব দ্রুত পার্কটি খুলে দেয় তা না হলে স্টাফরা চাকরি হারাতে পারে এবং মালিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
পর্যটন ও পার্ক মালিকদের সংগঠন বাপা’র হিসেব মতে করোনার কারণে দেশের প্রায় একশটি পার্ক বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে পঁয়তাল্লিশ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
বাপার সভাপতি শাহারিয়ার কামাল জানান,আমাদের সেক্টরটা যেন ডোবে না যায় এবং আমাদের যে কর্মচারীরা আছে তারা যেনো অসহায় না হয়ে পরে। আমাদের ইনকাম একদম শূন্যের কোঠায়। সামনে আবার কবে ইনকাম হবে লোকজন আসবে কি না এইগুলোর কিছুই আমরা জানি না। সরকার সবকিছু চিন্তা করে যেনো সরকার আমাদের দিকে নজর ।
এ খাতে কর্মরত প্রায় বিশ হাজার শ্রমিকের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পার্ক গুলো খুলে দেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এনএম/জিএ
মন্তব্য করুন