• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের কথা জানতো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ভিডিও)

খান আলামিন, আরটিভি নিউজ

  ১৩ আগস্ট ২০২০, ১৫:৫৬

রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও করোনা পরীক্ষার জন্য টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সব সময়ই জানতো। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সব কিছু জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং এগুলো চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি নথি থেকে এসবের সত্যতা মিলেছে।

করোনা চিকিৎসা ও বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে গত ২১ মার্চ চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুক্তি অনুযায়ী তাদের সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নিপসমে।

গত ৭ জুন নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ স্বাস্থ্য অধিপ্তরের ওই সময়ের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছে। তাছাড়া নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবে সরবরাহের ক্ষেত্রে তারা কোন নির্দেশনা মানছে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি অধিদপ্তরকে অনুরোধ করেন।

এর দুইদিন পর অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা ফিরতি চিঠিতে নিপসমকে প্রতিদিন রিজেন্টের ৫০টি নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেন। যাতে মহাপরিচালকের সম্মতি আছে বলে জানানো হয়।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সহকারি রেজিস্ট্রার ডাক্তার শরীফ সামিরুল আলম ১১ মে রিজেন্ট হাসপাতালে যোগ দেন। যোগ দেয়ার পরই তিনি দেখেন সেখানে চিকিৎসার পরিবেশ নেই।

কোভিড-19 চিকিৎসক শারীফ সামিরুল আলম জানান, আইসিইউ তো দূরের কথা রিসিপশন এবং আউটডোর ওয়ার্ড কোথাও করানো রোগীর জন্য স্পেশাল কিছু ছিল না। ডাক্তার নার্সরা যে প্রটেকশন নিয়ে যে ভেতরে ঢুকবে সেই ভাবে কোনো ব্যবস্থা ছিল না।

বিষয়টি হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে বললে উল্টো তাকে শাসানো হয়। ১৫ মে বিষয়টি তিনি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তৎকালীন সচিব আসাদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাকে মুগদা হাসপাতালে বদলি করা হয়।

ডা. শারীফ সামিরুল আলম আরও জানান, সেখানকার অবস্থা ভালো না এটা জানানোর পর আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি জানতাম না আমার জায়গায় অন্য জনকে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে শুনে একটু অবাক হয়েছি তবে খুশিও হয়েছি, কারণ আমাকে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।আসলে সাহেদ আমার জন্য নিজেও একটা হুমকি সরূপ ছিল।

ডাক্তার সামিরুলের জায়গায় রিজেন্ট হাসপাতালে দেয়া হয় পঙ্গু হাসপাতালের আইসিইউ’র জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডাক্তার আশরাফুল আলমকে। মে মাসের ১৬ তারিখের আদেশের পরদিন তিনি রিজেন্টে যোগ দেন। তবে ২৩ মে তিনিও অব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। কিন্তু এরপরও চুপ করে ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এনএম/জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে ২৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা
অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
X
Fresh